ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বেজোস-ম্যাকেনজির বিচ্ছেদ এবং এ্যামাজনের ভাগ্য

প্রকাশিত: ০৭:১০, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

বেজোস-ম্যাকেনজির বিচ্ছেদ এবং এ্যামাজনের ভাগ্য

২৫ বছর একসঙ্গে থাকার পর বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস এবং তার স্ত্রী ম্যাকেনজি। বুধবার টুইটারে এ ঘোষণা দেন তারা। মবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের হিসাব অনুযায়ী এ্যামাজন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বেজোসের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১৩ হাজার ৭শ’ কোটি ডলার। এদিকে তাদের বিচ্ছেদের খবরে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ্যামাজনের শেয়ারের দাম পড়েছে প্রায় ০ দশমিক ২ শতাংশ। সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি এরই মধ্যে এই ঘটনাকে ‘সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী যদি সাবেক দম্পতি নিজেরা সমঝোতায় পৌঁছতে না পারেন তবে তাদের সম্পদ ভাগাভাগি হবে। সেক্ষেত্রে ৬৯ বিলিয়ন ডলারের মালিক হবেন ম্যাকেনজি। এর ফলে তিনি শীর্ষ নারী ধনকুবে পরিণত হলেও বেজোস হারাবেন তার শীর্ষ স্থান। বিল গেটস ফিরে পাবেন শীর্ষ ধনীর খেতাব। সিএনবিসির তথ্য অনুযায়ী ৬৯ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে বেজোসকে ৮০ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করতে হতে পারে। এ রকম যদি ঘটে তবুও বেজোসই শীর্ষ অংশীদার হিসেবেই থাকবেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অংশীদারের ভাগ আছে ৫ শতাংশের কিছু বেশি। বর্তমানে বেজোস এ্যামাজনের ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক। এই ভাগ হলে বেজোস এবং ম্যাকেনজি দুজনেই হবেন শীর্ষ অংশীদার। তবে বিচ্ছেদের অর্থ মেটাতে গিয়ে যদি আবার বেজোস দ্বিতীয় অংশীদারের কাছে তার শেয়ার বেচে দেন তবে তিনি হারাবেন তার শীর্ষস্থান। যদিও সেই সম্ভাবনা খুব কম। এ্যামাজনের বর্তমান নীট সম্পদ ৭৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শেষ পর্যন্ত যাই হোক না কেন বিনিয়োগকারীরা এই বিচ্ছেদ নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছেন। মালিকানা যার হাতেই যাক না কেন বিনিয়োগকারীরা চান স্থিতিশীলতা। বেজোস-ম্যাকেনজি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার কথা বলেছেন। বাকি বিশ্বও যেন সেটাই চায়! সূত্র : সিএনবিসি
×