ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করণী সেনার সমর্থকেরা কঙ্গনাকে হুমকি দিচ্ছেন

প্রকাশিত: ২০:২১, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

করণী সেনার সমর্থকেরা কঙ্গনাকে হুমকি দিচ্ছেন

অনলাইন ডেস্ক ॥ ‘পদ্মাবত’ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বটে। তবে ‘মণিকর্ণিকা’ নিয়ে মাথাব্যথা নেই তাঁদের। জানিয়ে দিলেন করণী সেনার প্রধান লোকেন্দ্র সিংহ কালভি। তাঁর দাবি, একদিন আগে পর্যন্ত ছবির নামটাও জানতেন না তিনি। তাই বিক্ষোভ দেখানোর প্রশ্নই ওঠে না। করণী সেনার নাম ভাঙিয়ে কিছু স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা চলছে বলেও শনিবারঅভিযোগ তোলেন তিনি। ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ছবিতে রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন কঙ্গনা রানাউত। দিন কয়েক আগে করণী সেনার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন তিনি। জানান, করণী সেনার সমর্থকেরা তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। মন্তব্য করেন যে, ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন তিনি। রাজপুত রক্ত বইছে শরীরে। সকলকে দেখে নেবেন। এ নিয়ে করণী সেনা প্রধানকে প্রশ্ন করা হলে সব অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি।শনিবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন লোকেন্দ্র সিংহ কালভি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘গতকাল থেকে শুনছি করণী সেনা নাকি মণিকর্ণিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এতদিন ওই ছবির নামই জানতাম না আমি। তাই বিক্ষোভ দেখানোর প্রশ্নই ওঠে না। পদ্মাবতের সময়ও এমন হয়েছিল। আমাদের নাম করে সঞ্জয় লীলা বংশালীর কর্মচারীদের কাছ থেকে ১০-২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল কয়েকজন।’’ ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ছবিতে রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের সঙ্গে এক ব্রিটিশ অফিসারের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে বলে সম্প্রতি জল্পনা ছড়িয়েছে। তাতে রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের চরিত্রহনন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু ঝাঁসির মানুষ তা নিয়ে প্রতিবাদ না করলে, খামোকা তাঁরা নাক নাক গলাতে যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন লোকেন্দ্র সিংহ কালভি। তিনি বলেন, ‘‘ওইরকম কোনও দৃশ্য থাকলেই বা কী? তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যাবে কে? রানির পরিবারের সদস্য এবং তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষরা চাইলে প্রতিবাদ করতেই পারেন। ১০-১৫ দিন আগেই ঝাঁসি গিয়েছিলাম। কেউ ছবি নিয়ে কিছু বললে না হয় ভেবে দেখতাম। কিন্তু ছবিতে আদৌ ওই ধরনের কোনও দৃশ্য রয়েছে কিনা তা-ই বা জানব কী করে?’’ ইতিহাসবিদদের সঙ্গ পরামর্শ না করে করণী সেনা কখনও ঝামেলা পাকাতে যায় না বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু ‘পদ্মাবত’-এর সময় যে ভাঙচুর হয়েছিল? তাঁর দাবি, ঝামেলা হয়েছিল বটে। তবে অনেক জায়গাতে বহিরাগতরাই তাণ্ডব চালিয়েছিল। পরে ভাঙচুর ও হিংসার দায় করণী সেনার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×