ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর বাঘায় এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা ॥ গ্রেফতার ৭

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

রাজশাহীর বাঘায় এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা ॥ গ্রেফতার ৭

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন পরির্দশনে গিয়ে এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ১৫ জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভুমি) পক্ষে সার্ভেয়ার শামসুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ শনিবার দিবাগত রাত থেকে রবিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে আবুল বাসার (৩০), কাশেম আলীর ছেলে বেলাল (৪০), উপজেলার আলাইপুর গ্রামের শহিদুল মল্লিকের ছেলে মিনারুল ইসলাম (২২), আজাহার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম কালু (৪৮), নইমুদ্দিন দুই ছেলে নবাব আলী (৩৭) ও কামরুজ্জামান (৩৫) ও কলিগ্রামের নেকা ভাংড়ির ছেলে সুলতান আলী (৩৫)। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার মুল নায়ক ও প্রধান আসামি নওশাদকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। আজ রবিবার বাঘা উপজেলা প্রশাসনের সকল দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী , স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, এবং বিভিন্নস্তরের মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। মামলা সুত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের পদ্মা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছিল ওই এলাকার মোজাহারের ছেলে নওশাদ আলী ও মহসীনের ছেলে আব্দুল বারিসহ তার লোকজন। এ খবর পেয়ে দুই কর্মচারিসহ ঘটনা স্থলে যান সহকারি কমিশনার (ভূমি) পিএম ইমরুল কায়েস। এরপর বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে বালুদস্যুরা। ঘটনার এক পর্যায় বিকেলে হরিরামপুর বালু মহল পরিদর্শন করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের ও পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ। এদিকে মানববন্ধন চলাকালে উপজেলা মৎস্য অফিসার আমিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি কাজে বাঁধা দিয়ে এসিল্যান্ডসহ দুই কর্মচারিকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবিতে সুশীল সমাজ, শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধারাও এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সরেজমিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গ্রেফতার এড়াতে বাড়ির লোকজন আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
×