ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লিবীয় উপকূলে শতাধিক অভিবাসীর মৃত্যুর আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

 লিবীয় উপকূলে শতাধিক অভিবাসীর মৃত্যুর আশঙ্কা

লিবীয় উপকূলের অদূরে শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতালীয় নৌবাহিনী তিন জনকে উদ্ধার করার পর আইওএম শনিবার একথা বলেছে। খবর এএফপির। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, এ তিন জন বলেছে, তাদের নৌকায় যাত্রা শুরুতে ১শ’ ২০ জন যাত্রী ছিল। আইওএম ইতালীয় টুইটারে পোস্ট করা মন্তব্যে বলেছে, বেঁচে যাওয়া ৩ জনের কথা থেকে বোঝা যায়, ১০ নারী ও ১০ মাস বয়সের ১ শিশুসহ ১শ’ ১৭ জন নিখোঁজ হয়ে থাকবে। এর আগে ভূমধ্যসাগরে এক উদ্ধার অভিযানের পর ইতালীয় নৌবাহিনী বলেছে, ৩ অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছে এবং প্রায় ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। এ্যাডমিরাল ফ্যাবিও এ্যাগোস্তিনি বলেন, নৌবাহিনী শুক্রবার উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং একটি হেলিকপ্টার ৩ জনকে উদ্ধার করেছে। ১ জনকে সাগর থেকে এবং অন্য ২ জনকে বিমান বাহিনীর ফেলা জীবনরক্ষা ভেলা থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি নেভির টুইট করা এক সাক্ষাতকারে ইতালীয় টেলিভিশনকে বলেন, বিমান বাহিনীর পাইলটরা প্রায় ২০ জন বহনকারী একটি ডিঙ্গি নৌযানকে দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। তিনি বলেন, উদ্ধার কাজের সময় বেশ কিছু মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, উদ্ধারকর্মীরা ডিঙ্গিটির অবস্থান নির্ণয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। আইওএম বলেছে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের অধিকাংশই ছিল ক্যামেরুন, গাম্বিয়া, আইভরিকোস্ট, নাইজিরিয়া ও সুদানের বাসিন্দা। বেঁচে যাওয়া ৩ জন বলেছে, সহযোগিতা পৌঁছানোর আগে তাদের প্রায় ৩ ঘণ্টা সাগরে অবস্থান করতে হয়েছে। তাই তাদের শরীরের তাপমাত্রা ছিল অস্বাভাবিকভাবে নিচে। জার্মান চ্যারিটি গ্রুপ সিওয়াচ শনিবার বলেছে, প্রতিষ্ঠান হাল্কা জলযান থেকে ৪৭ জনকে উদ্ধার করেছে। কিন্তু তারা একই গ্রুপের কি না তা জানা যায়নি। রেড ক্রিসেন্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইতোমধ্যে ২ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত লিবীয় শহর সার্তির তটে ১৬ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। আইওএমের মতে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টায় ৮৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। সংস্থা বলেছে, ইউরোপীয় উপকূলগুলোতে অবতরণ করা অভিবাসী ও শরণার্থীর সংখ্যা এ বছর প্রথম ১৬ দিনে ৪ হাজার ২শ’ ১৬ জনে পৌঁছেছে। ২০১৮ সালে একই সময় এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩শ’ ৬৫ জন। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্ল্যান্ডি বলেছেন, ইউরোপের দোরগোড়ায় এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যুতে আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। ইতালির ডানপন্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাট্টিও সালভিনি এক ফেসবুক ভিডিওতে বলেছেন, ভূমধ্যসাগরে নৌযানডুবি আবারও ঘটা শুরু হয়েছে। যানগুলোতে করে শরণার্থীরা আবারও যাওয়া শুরু করেছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
×