ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গাফ্ফার চৌধুরীকে সম্মাননা

ঢাবির ৫ শিক্ষার্থী পেল আতাউস সামাদ স্মারক বৃত্তি

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

 ঢাবির ৫ শিক্ষার্থী পেল আতাউস  সামাদ স্মারক  বৃত্তি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ২০১৮ সালে স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় ভাল ফল করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পাঁচ মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘আতাউস সামাদ স্মারক বৃত্তি’ প্রদান করা হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের স্মারক বৃত্তি প্রদান করেন। বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন স্নাতক ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তারেক আল হাসান, মোঃ নাজমুল হুসাইন, মোস্তফা মোঃ তাহান, ইশরাতুল জাহান শোভা ও ইসতিয়াক আহমেদ। এছাড়া দেশে সাংবাদিকতা পেশার উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে ‘আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট আজীবন সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েনের সভাপতিত্বে ও সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। ‘সংবাদপত্রে কলাম : তাৎপর্য ও শৈলী’ শিরোনামে স্মারক বক্তব্য দেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোঃ আলী, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, মফিজুর রহমান ও শাওন্তী হায়দার প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাহস মুস্তাফিজ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সম্মানে রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘বসে আছি কবে শুনিব তোমারই বাণী’ পরিবেশন করেন। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে তার নিকটজন আলী হাবিবের হাতে আজীবন সম্মাননার ক্রেস্ট ও পুরস্কার তুলে দেন উপাচার্য। অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, সংবাদপত্রের কলাম নিয়ে খুব বেশি আলোচনা না হলেও একটি সংবাদপত্রের জনপ্রিয়তা এবং তার প্রভাব নির্ভর করে সেই সংবাদপত্রের কলাম কতখানি জনপ্রিয় এবং জনমনে তা কতখানি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, তার ওপর। কলাম লেখকের নামেই কোন কোন সংবাদপত্র জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এমন নজির অনেক। আশির দশকে একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক কি লিখেছেন সেটাই পাঠকের মূল আকর্ষণ ছিল, সংবাদপত্র কি লিখছে তার গুরুত্ব পরে। সংবাদপত্রের পাঠাভ্যাস পরিবর্তন হচ্ছে নানাবিধ কারণে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কলাম লেখা ও তার শৈলীর পরিবর্তন অনিবার্য। উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় দর্শন হলো বৈচিত্র্যতার মধ্যে একতা। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের এই বার্তা দেয় যে, আমাদের মধ্যে বৈচিত্র্যতা থাকবে, বিভিন্ন পরিচয় থাকবে, মতপার্থক্য থাকবে, ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ থাকবে; কিন্তু সবার মধ্যে একটি একতা থাকবে। অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, সাংবাদিকতায় কলাম লেখা বাংলাদেশে অতীতের যে কোন সময়ের থেকে এখন বোধহয় অনেক বেশি কঠিন। অনেকের মনে হতে পারে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা কী করে সম্ভব হয়। আগে আইয়ুব, এরশাদ পত্রিকা বন্ধ করে দিত। কিন্তু এখন যুক্ত হয়েছে ‘সেল্ফ সেন্সরশিফ’ তথা কর্পোরেট পুঁজির বিনিয়োগ। কোন কোন পত্রিকা হাউসে বলে, সব ঠিক আছে শুধু ভূম্যিদস্যু নিয়ে লিখবেন না, গার্মেন্টস নিয়ে কিছু না বললে হয়। আরেকটা ব্যাপার, কোন একটি দেশে যখন সরকার একাকী থাকে তখন তার সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু অসুবিধাও থাকে, যখন কোন কার্যকর বিরোধী দল থাকে না। তখন সাংবাদিকদের, কলামিস্টদের অনেক দায়িত্ব। তারা যেন বস্তুনিষ্ঠভাবে, সঠিক সমালোচনার মাধ্যমে এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
×