ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানকে জেতালেন মোহাম্মদ হাফিজ

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

 পাকিস্তানকে জেতালেন মোহাম্মদ হাফিজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তিন টেস্টের সিরিজে লজ্জাজনকভাবে ‘হোয়াইটওয়াশ’ পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে। মোহাম্মদ হাফিজের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল। অনেকদিন পর ফর্মে ফেরা হাসিম আমলার সেঞ্চুরি সত্ত্বেও পোর্ট এলিজাবেথে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ২৬৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ। জবাবে ৫ উইকেট হারানো পাকিস্তান জয় পায় ৫ বল বাকি থাকতে। ৬৩ বলে অপরাজিত ৭১ রানের দারুণ এক কার্যকর ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন দু’দিন আগেই বিপিএল থেকে উড়ে যাওয়া হাফিজ। আর দীর্ঘ ১৩ মাস পর পাওয়া সেঞ্চুরিটি অতিমাত্রায় মন্থর আমলা (১২০ বলে ১০৮*) পড়েছেন ভীষণ সমালোচনার মুখে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রিজা হেনড্রিকসের সঙ্গে ৮২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভাল শুরু এনে দেন আমলা। ৫ চারে ৬৭ বলে ৪৫ রান করা হেনড্রিকসকে ফিরিয়ে শুরুর জুটি ভাঙ্গেন শাদাব খান। মন্থর উইকেটে বল একটু দেরিতে আসছিল ব্যাটে। কোন ঝুঁকি না নিয়ে সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন আমলা ও অভিষিক্ত রাসি ফন ডার ডুসান। দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১৫৫ রানের জুটি। ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির আশা জাগানো ফন ডার ডুসান ফেরেন রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায়। হাসান আলিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন শোয়েব মালিকের হাতে। ১০১ বলে খেলা ডানহাতি টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানের ৯৩ রানের ইনিংসটি গড়া ৬ চার ও ৩ ছক্কায়। বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া আমলা নিজের ইনিংসের একমাত্র ছক্কায় পৌঁছান ২৭তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে। অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে। তার ১২০ বলের ইনিংস সাজানো ৭টি চারে। শেষের দিকে নেমে ১২ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। পোর্ট এলিজাবেথে খেলা এর আগের চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছিল পাকিস্তান, পরিত্যক্ত হয়েছিল অন্যটি। এই মাঠের উইকেট অনেকটাই উপমহাদেশের উইকেটের কাছাকাছি। টেস্ট সিরিজে যে ধরনের উইকেট ছিল তেমন ব্যাটিং করতে না পারার মাসুল দেয় ‘৩-০’ ব্যবধানে সিরিজ হেরে। প্রথম ওয়ানডেতে মন্থর, টার্নিং উইকেটে যে ধরনের ব্যাটিং দরকার ছিল ঠিক সেটি করেই জয় তুলে নিল সরফরাজ আহমেদের দল। শুরু থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের ওপর চড়াও হন ফখর জামান। ইমাম-উল হকের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটিতে সুর বেঁধে দিয়ে যান এই বিস্ফোরক ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৪ রান যোগ করে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান ইমাম ও বাবর আজম। হেনড্রিকসের আপাত নিরীহ এক ডেলিভারিতে ভাঙ্গে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এ জুটি। ৫ চারে ৪৯ রান করা স্টাইলিশ বাবর সাজঘরে ফেরেন বোল্ড হয়ে। ছক্কায় রানের খাতা খোলা ইমাম খেলছিলেন দারুণ। তার ব্যাটে পাকিস্তান ছিল সহজ জয়ের পথে। কিন্তু বাজে শটে উইকেট ছুড়ে আসেন এই তরুণ। ১০১ বলে খেলা ইমামের ৮৬ রানের ইনিংসে দুটি ছক্কার পাশে আছে পাঁচটি চারের মার। শোয়েব মালিক ও সরফরাজের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। তবে শাদাবকে নিয়ে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন হাফিজ। চাপের মুখে খেলা ৬৩ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস তাকে এনে দেয় ম্যাচসেরার পুরস্কার। ১২ ইনিংস আর ১৪ মাস পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আমলাকে।
×