ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সিজারে সময় ব্লেডের আঘাতে নবজাতকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

সিজারে সময় ব্লেডের আঘাতে নবজাতকের মৃত্যু

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ করেছে প্রসূতির পরিবার। শিশুটির গাল ও পিঠে কাটার চিহ্ন রয়েছে। রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন সিজার করার সময় ব্লেডের আঘাতে শিশুটির একাধিক স্থানে কেটে যায়। এতে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ হাসপাতালের তিন পরিচালককে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন রেজাউল করিম মুরাদ, আজাহার মাহমুদ জুয়েল ও আশরাফুর রহমান রনিস। জানা যায়, ২০ জানুয়ারি রবিবার রাত ১২টার দিকে নগরীর কৃষ্টপুর আলিয়া মাদ্রারাসা রোডের বেসরকারি ক্লিনিক পরশ প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের জান্নাত বেগম (২২) নামের প্রসূতি মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয় কন্যা সন্তান। জন্মের আধা ঘণ্টা পর পরিবারের হাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তুলে দেয় মৃত কন্যা সন্তান। কিন্তু মৃত ওই সন্তানের পিঠে ও গালে কাটার চিহৃ দেখতে পান স্বজনরা। রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন সিজার করার সময় ব্লেডের আঘাতে শিশুটির একাধিক স্থানে কেটে যায়। আর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়। নবজাতকের পিতা পোশাক শ্রমিক হারুন অর রশিদ জানান, ২০ জানুয়ারি রবিবার সকাল থেকেই তার স্ত্রী জান্নাতের প্রসব ব্যথা শুরু হয়। রাত ১১টার দিকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে নগরীর কৃষ্টপুর আলিয়া মাদরাসা রোডের পরশ প্রাইভেট হাসপাতালে ১৬ হাজার টাকা সাব্যস্ত করে তাকে ভর্তি করা হয়। কোনও রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই রাত ১২টার সময় সিজারের মাধ্যমে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় জান্নাত। জন্মের আধা ঘণ্টা পর পরিবারের হাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তুলে দেয় মৃত সন্তান। কিন্তু মৃত ওই সন্তানের পিঠে ও গালে কাটার চিহৃ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় আমার নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আমি তদন্ত পূর্বক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুরুল আলম জানান, পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাইভেট হাসপাতালের তিন পরিচালককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
×