ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে হত্যাকাণ্ড !

যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতর নিরাপত্তা কর্মী খুন

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতর নিরাপত্তা কর্মী খুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতরে কর্মরত এক নিরাপত্তা কর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। একটি পুরনো মোবাইল ফোন কেনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকা-ের ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে নিহত নিরাপত্তা কর্মীর মামার ধারণা। রবিবার রাতে রাজধানীর বারিধারা জে ব্লকে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ নিহত নিরাপত্তা কর্মী শামীমের (২২) লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। ভাটারা থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিলকিস আক্তার জনকণ্ঠকে বলেন, খুন হওয়া নিরাপত্তা কর্মী শামীমের পিতার নাম নজরুল ইসলাম। বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়িয়া এলাকায়। শামীম এলিট ফোর্স নামের একটি বেসরকারী নিরাপত্তা কোম্পানিতে প্রায় সাত বছর ধরে কর্মরত। ঘটনা জানার পর শামীমের পিতা-মাতা ছাড়াও যমুনা ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা ও বেসরকারী নিরাপত্তা কোম্পানির কর্মকর্তারা থানায় এসেছেন। তাদের পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, প্রাথমিকভাবে শামীমকে ভারি কোন ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে মাথার পেছন দিকে আঘাত করে খুন করার আলামত মিলেছে। সন্দেহভাজন কয়েক জনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ এটিএম বুথে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নিহতের মামা বেসরকারী নিরাপত্তা কোম্পানি এলিট ফোর্সে গার্ড হিসেবে কর্মরত মোহাম্মদ মোতালেব জনকণ্ঠকে বলেন, শামীমের পিতা ও একমাত্র ছোট ভাই আমিনুলও এলিট ফোর্স কোম্পানিতে গার্ড হিসেবে কর্মরত। শামীম পাঁচ হাজার টাকায় একটি পুরনো মোবাইল ফোন একই কোম্পানির আরেক গার্ডের কাছ থেকে কিনেছিল। ফোনটি কয়েক দিন ব্যবহারের পর নষ্ট হয়ে যায়। পরে ফোনটি ফেরত দিয়ে কেনা বাবদ দেয়া পাঁচ হাজার টাকা ফেরত চায়। এ নিয়েই গ-গোলের জেরে শামীমকে মারধর করে কোম্পানির কয়েকজন। শামীমের ছোট ভাই আমিনুল মারধরের কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে আরেক দফা গ-গোল হয়। সেই গ-গোলের জের ধরেই শামীমকে হত্যা করা হতে পারে। রবিবার রাত দশটার দিকে শামীম ওই বুথে দায়িত্ব পালন করতে যায়। সকাল আটটার দিকে তিনি জানতে পারেন, তার ভাগ্নের খুনের বিষয়টি। তিনি থানায় গিয়ে পুলিশের নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। বুথের আশপাশের মানুষের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাতে মুখোশ ও কালো পোশাক পরিধান করে কে বা কারা যেন শামীমের মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ বুথের ভেতরে রেখেই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ এলিট ফোর্সের তিনজনকে থানা হেফাজতে আটকে রেখেছে।
×