ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান দ্বিতীয় ওয়ানডে আজ

ডারবানেও জয় চান সরফরাজ

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

ডারবানেও জয় চান সরফরাজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান দ্বিতীয় ওয়ানডে আজ। টেস্টে ৩-০ ব্যবধানে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হলেও পোর্ট এলিজাবেথের প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয়ে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে সফরকারী পাকিস্তান। রঙিন পোশাকে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে আজ আরও এগিয়ে যেতে চায় সরফরাজ আহমেদের দল। অন্যদিকে বিশ্বকাপ সামনে রেখে প্রতিটি ওয়ানডেই প্রোটিয়াদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাফ ডুপ্লেসিসরাও সমতায় ফিরতে মরিয়া। আগের ম্যাচে দীর্ঘদিন পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেও মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে হাসিম আমলা। সবমিলিয়ে লড়াই হতে পারে জমজমাট। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায়। টেস্টে বিধ্বস্ত হওয়ার পরও কোচ মিকি আর্থার বলেছিলেন, রঙিন পোশাকে বিশেষ করে ওয়ানডেতে পাকিস্তান অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ। প্রথম ম্যাচেই সেটি দেখা গেছে। পোর্ট এলিজাবেথে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ২৬৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ। জবাবে ৫ উইকেট হারানো পাকিস্তান ৫ উইকেটের জয় পায় ৫ বল বাকি থাকতে। ৬৩ বলে অপরাজিত ৭১ রানের দারুণ এক কার্যকর ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন ক’দিন আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) থেকে উড়ে যাওয়া মোহাম্মদ হাফিজ। আর দীর্ঘ ১৩ মাস পর পাওয়া সেঞ্চুরিটি অতিমাত্রায় মন্থর আমলা (১২০ বলে ১০৮*) পড়েন ভীষণ সমালোচনার মুখে। অধিনায়ক সরফরাজ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা ভাল ক্রিকেট খেলে জিতেছিলাম। এবার ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ। তবে ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সবসময় ভয়ঙ্কর দল। আমাদের সামর্থ্যরে সেরাটা দিতে হবে।’ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টে বৃষ্টি বিঘিœত এক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করেছিল পাকিস্তান। সেই থেকে শুরু করে ওয়ানডে ক্রিকেটে পাকিস্তানের জয়ের রেকর্ড ১৭-১০। গত বছরের শেষ দিকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়া মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের অন্তর্ভুক্তিতে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ শক্তিশালী হবে। তাছাড়া দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন দুই স্পিনার শাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিম। দলে আছেন তুখোড় আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান ফখর জামান। শর্ট বলে নড়বড়ে বাঁহাতি এ ওপেনার টেস্ট সিরিজে চার ইনিংসে মাত্র ৩২ রান করলেও ওয়ানডে ক্রিকেটে তার স্কোরিং সক্ষমতা অতুলনীয়। দারুণ ছন্দে থাকা ইমাম উল হকের কথাও আলাদা করে বলতে হবে। প্রথম ম্যাচে ব্যক্তিগত ৮৬ রানে আউট হন এ ওপেনার। ২০১৩ সালের নবেম্বরে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জিতেছিল সফরকারী পাকিস্তান। যা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে উপমহাদেশের আনপ্রেডিক্টেবল এ দলটির একমাত্র ওয়ানডে সিরিজ জয়ের নজির। সরফরাজদের জন্য সেটিও বড় অনুপ্রেরণার। অন্যদিকে বারবার বড় দল হিসেবে আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিলেও ব্যর্থতাই হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী। আসন্ন ইংল্যান্ডে আরেকটি বিশ্বকাপ সামনে রেখে প্রোটিয়ারা চাইবে ঘুরে দাঁড়াতে। একটি সঠিক সমন্বয়ের খোঁজে ফ্যাফ ডুপ্লেসিসের দল। কুইন্টন ডি কক ও ডেল স্টেইনের বিশ্রামে আজ কাগিসো রাবাদা, এইডেন মার্করাম আর ইমরান তাহিরদের ওপর থাকবে বাড়তি দায়িত্ব।
×