ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মার্চে ভারতে নৌপথে ভ্রমণ চালু হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

মার্চে ভারতে নৌপথে ভ্রমণ চালু হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এবার নৌপথে ভারত যাওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশীরা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মার্চে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে অসমের গুয়াহাটি পর্যন্ত জাহাজে করে শুরু হবে যাত্রী চলাচল। ফলে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি নয়, আরামদায়ক এ ভ্রমণ দুদেশের পর্যটন ও অর্থনীতিতে খুলবে নতুন দুয়ার। এ উপলক্ষে দেশের নৌবন্দরগুলোকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি নেয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নৌ যোগাযোগের সম্ভাব্য সব দিক বিবেচনা করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। এদেশের ভ্রমণপিয়াসী মানুষদের স্বপ্ন সত্য হতে যাচ্ছে। এবার দুপাড়ের সবুজ প্রকৃতি দেখে আর নদীর কলতান শুনতে শুনতে জাহাজে ভ্রমণ করে যাওয়া যাবে ভারত। নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করছে ১৯৭২ সাল থেকে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুদেশের মধ্যে এসওপি অনুসারে আগামী মার্চ মাস থেকে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল শুরুর ব্যাপারে এর মধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে দুটি কোম্পানি। এর মধ্যে আরভি বেঙ্গল গঙ্গা ভারতের, আর জার্নি প্লাস প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের। মূলত ভারতের কলকাতা হয়ে বরিশাল, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঢাকা আসবে এ রুটের জাহাজ। পরে ঢাকা, মাওয়া, আরিচা, সিরাজগঞ্জ, চিলমারি হয়ে যাবে অসমের গুয়াহাটি। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বাংলাদেশ। বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ইতোমধ্যেই অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমরা আন্তর্জাতিক মানের একটি স্ট্রাকচারাল কাঠামো তৈরি করতে পারব।’ কলকাতা থেকে গুয়াহাটি; ১,৫৩৫ কিলোমিটার পুরো ভ্রমণে সময় লাগবে ১৭ দিন। আগামী ২৯ মার্চ শুরু হবে প্রথমবারের মতো এ যাত্রা। মূলত পর্যটকদের লক্ষ্য করে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে একজন যাত্রীর খরচ হতে পারে ২০-৫০ হাজার টাকা। পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি সফল হলে পরবর্তীতে ভারতের চেন্নাই পর্যন্ত তা বিস্তৃত করা হবে। নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত যাওয়ার জন্য একটা জাহাজ আমরা দেখছি। এতে আমাদের বাণিজ্যসহ অন্যান্য আরও অনেক সুবিধা হবে।’ প্রতি বছর সড়ক ও আকাশপথে দুদেশের মধ্যে ১৫ লাখ মানুষ আসা যাওয়া করেন।
×