ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তারুণ্যের প্রত্যাশা

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

তারুণ্যের প্রত্যাশা

রিফাহ্ রাফিয়া মনির সদ্য স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থী শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে তরুণ সম্প্রদায়ের বিপথে যাওয়ার এবং তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবচেয়ে বড় নেতিবাচক ভুমিকা পালন করছে সেটি হলো বেকারত্ব। গতানুগতিক ধারায় লেখাপড়া করে প্রচলিত চাকরি বাকরি করা ছাড়া আমাদের জন্য আর তেমন কোন পথ খোলা থাকে না। ফলে অনেক তরুণ-তরুণী যথেষ্ট মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও সমাজের চোখে নিতান্ত ‘গড়পড়তা’ অথবা নিজেদের চোখে নেহাত ‘ব্যর্থ’। আর যারা এই গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে একটু অন্য রকম কোন বিষয়ে পড়ে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েÑ পাস করে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের বেকারত্বের ঘানি টানতে হয়। অথচ উন্নতবিশ্বে এসব বিষয়ের গ্রাজুয়েটদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের কোন ঘাটতি নেই। ফল মেধা পাচার দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং এই উজ্জ্বল নক্ষত্রদের আমরা হারাচ্ছি। তারুণ্যমুখী নতুন এই সরকারের কাছে নতুন প্রজন্মের একজন হিসেবে আমার চাওয়া হলো, আমাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ করতে কাজ করুন, ডানা মেলার জন্য আমাদের আকাশটা হোক আরও প্রশস্ত। আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগ শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথমেই মহাজোট সরকারের নিরঙ্কুশ বিজয়ে তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণ মহাজোট সরকারের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতি দমন এবং সুশাসন যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হোক এটি প্রতিটি তরুণের প্রত্যাশা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা, আর সে কথাতেই স্বপ্ন দেখছে তরুণ প্রজন্ম একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ দেখার। বেকারত্বের হার কমিয়ে আনা এ সরকারের জন্য আরও একটি চ্যালেঞ্জ। দেশে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ তরুণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি তরুণ বেকারত্বের অভিশাপে দিশেহারা। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে দেখতে চাইলে বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে হবে এবং তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশের শিল্প-সাহিত্য, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে অবহিত করা এবং দেশের সফল উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে অণুপ্রাণিত করতে পারলে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না বলে আমরা তরুণ প্রজন্ম বিশ্বাস করি। আফতাব সমাজকর্মী ও সাবেক শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধু, বঙ্গতাজ, লাখো শহীদ আর অজ¯্র মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কঠিন হলেও মহত যে দায়িত্ব দেশরতœ শেখ হাসিনা নিজ কাঁধে বয়ে চলেছেন, সে কাজে সফল হতে প্রয়োজন ক্ষেত্রভেদে কিংবা অঞ্চলভেদে সঠিক লক্ষ্যে পরিচালিত সফল উদ্যোক্তার। উদ্যোক্তা তৈরি না হওয়া কিংবা তৈরি হলেও টিকে থাকতে না পারা একটি দেশের উন্নতি ও অগ্রযাত্রার বড় বাধা। সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করে, দেশের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন সেক্টরে গড়ে ওঠা প্রকৃত উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করবে এবং সর্বোপরি উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করবে, এটাই বর্তমান সরকারের কাছে আমার প্রথম ও প্রধান চাওয়া। কেননা, সোনার বাংলা গড়তে হলে উদ্যোক্তা গড়তে হবে।
×