ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ থেকে মধুমেলা শুরু, চলবে সাতদিন

প্রকাশিত: ১৯:০০, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

আজ থেকে মধুমেলা শুরু, চলবে সাতদিন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার থেকে কবির জন্মগৃহ কেশবপুরের সাগরদাঁড়ির কপোতাক্ষ নদের তীরে শুরু হচ্ছে সাতদিন ব্যাপী মধুমেলা। এসএসসি পরীক্ষার কারনে এবারও কবির জন্মদিন ২৫ জানুয়ারির তিনদিন আগে আজ ২২ জানুয়ারি শুরু করা হচ্ছে কবির জন্মবার্ষিকী ও সাতদিন ব্যাপী মধুমেলা। আজ বিকেলে জন্মবার্ষিকী ও সাতদিন ব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য্য। বিকেলে কবির জন্মগৃহের বুড়ো কাঠবাদাম গাছ তলার মধুমঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মধুপল্লীর অম্রকাননে আয়োজিত সাতদিন ব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন, কেশবপুরে সাংসদ সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, যশোর-১ এর সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ এর সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৩ এর সাংসদ রণজিৎ কুমার রায়, যশোর-৪ এর সাংসদ নাসির উদ্দিন আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। মধুমেলাকে ঘিরে এলাকার মানুষের ভেতর উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। দূরদূরন্ত থেকে মেলা উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনরা মেলা উপলক্ষে আসা শুরু করছেন। অনেকে মেলা দেখার আহবান জানিয়ে আতœীয়ের বাড়িতে ফোনে দাওয়াত দিচ্ছেন। অনেক মেয়ে-জামাইই মেলা উপলক্ষ্যে বেড়াতে এসেছেন। মেলা দেখার সাথে বাড়তি খেজুরের রসে ভেজানো শীতের পিঠা দিয়ে আপ্পায়িত হবেন কুটুমরা। এসব কারনে দক্ষিন-পশ্চিম এলাকার মানুষের ভেতর মধুমেলা আজ প্রানের মেলায় পরিণত হয়েছে। সাতদিন ব্যাপী মধুমেলায় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাগরদাঁড়ীর মধুমঞ্চে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে কবির জীবনী ও সাহিত্যের উপর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নাটক, জারী, বাউল গান, যাদু প্রদর্শনী, পালাগানসহ নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে বরাবরের মতো এবার মেলার মাঠে থাকবে উন্মুক্ত যাত্রাপালা। মেলা কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমান জানিয়েছেন, সাতদিন ব্যাপী আলোচনা সভায় মধুকবির জীবনীর উপর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হবে। সপ্তাহব্যাপী মধুমেলায় এবার ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। আইন শৃংখলা বজায় রাখতে পুলিশ, র্যাব ও আনসার মোতায়েমসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার নামকরা সংকৃতির চিত্র তুলে ধরতে সেই সব এলাকার শিল্পীদের আনা হচ্ছে। এরমধ্যে চাপাই নবাবগঞ্চের গম্ভীরা, রংপুর-কুড়িগ্রামের ভাওয়য়া, রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ির পাহাড়ী নৃত্য, মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকদের গানসহ যশোর ও স্থানীয় সাংকৃতিক সংগঠনগুলোকে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, অশ্লীলতা রোধ করতে মেলার মাঠে যাত্রাপালার আলাদা কোন প্যান্ডেল থাকবে না এবং পুতুল নাচ একেবার থাকবে না।
×