ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর

বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা ॥ সমকালীন সমস্যা

প্রকাশিত: ০৩:৩০, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা ॥ সমকালীন সমস্যা

তেইশ বছর আগে ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাণিজ্য প্রসারণ ও পরিচালনার জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা (ডঞঙ) প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শেষ বছর ১৯৪৪-এ ব্রেটন উডস চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার কথা ছিল। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা সম্পর্কিত চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়ায় ব্রেটন উডস এ গৃহীত সূত্র অনুযায়ী আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য প্রবাহ মুক্তভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে শুল্ক ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের সাধারণ চুক্তি (জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ এ্যান্ড ট্রেড- এঅঞঞ-গ্যাট) সম্পাদিত হয় এবং এই চুক্তি অনুযায়ী দায়িত্ব সম্পাদনে ১৯৪৭ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা বিশ্বব্যাংকের আদলে প্রতিষ্ঠিতব্য একটি পৃথক সংস্থার বিকল্পে জেনেভায় গ্যাট-সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্যাটের আওতায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে শুল্ক কমানো ও প্রতিবন্ধকতা দূরকরণে ক্রমান্বয়ে ৭ দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম দফায় (গ্যাট রাউন্ড) বাণিজ্যরত দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক কমানো হয় এবং আমদানিকৃত দেশ কর্তৃক আরোপনীয় শুল্ক সকল দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রীর ওপর বৈষম্যবিহীনভাবে একই হারে আরোপণ ও প্রশাসিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ১৯৬০ এর দশকের মাঝখানে কেনেডি দফার আলোচনার আলোকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতি-আপতন (ধহঃর ফঁসঢ়রহম) বিষয়ে এবং উন্নয়ন অনুকূল বিধানাবলী নিয়ে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৭০-এর দশকে টোকিও দফার আলোচনার ফলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধা (হড়হ ঃধৎরভভ ড়নংঃধপষবং) সমূহ দূর করার লক্ষ্যে সদস্য দেশসমূহ সমঝোতায় পৌঁছে। টোকিও দফার সমঝোতা অনুযায়ী সকল পণ্যাদির ক্ষেত্রে শুল্কভিত্তিক বাধা কমিয়ে অশুল্ক বাধা কেবল সরকারী সংগ্রহ, গবাদি পশুজাত দ্রব্য এবং বেসামরিক বিমান ও দুধজাত পণ্যাদির ক্ষেত্রে অব্যাহত থাকে। এরপর দোহা দফার আলোচনায় ব্রাজিল, ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অসম্মতির কারণে কৃষিজাত আমদানির ওপর অশুল্ক বাধা অপরিবর্তিত থাকে। এই পটে ১৯৮৬ সালে উরুগুয়ে দফার আলোচনার ফলে সেবা সামগ্রীর ও আঁতেল সম্পত্তির ক্ষেত্রে মুক্ত বাণিজ্যনীতি অনুসরণ করার নীতি গ্রহণ করে ১৯৯৪ সালে মরক্কোর মারাকেশে গ্যাটের পরিবর্তে অথচ গ্যাট চুক্তিতে গৃহীত মুক্ত বাণিজ্যনীতির প্রসারণকে লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা ১২৪টি দেশের সমর্থন ও চুক্তির ভিত্তিতে গঠিত হয়। এই চুক্তিতে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার ৫টি মূল কার্যাবলী উল্লেখিত হয়- ১. পণ্যের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক চুক্তিসমূহ প্রক্রিয়াজাত ও অনুমোদনকরণ; ২. সেবা সামগ্রীর বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সাধারণ চুক্তিতে উপনীত হওয়া; ৩. আঁতেল সম্পত্তিবিষয়ক স্বত্বাদির বাণিজ্যিক চুক্তি প্রণয়ন; ৪. বাণিজ্য বিরোধ নিম্পত্তিকরণ; এবং ৫. সদস্য দেশসমূহের বাণিজ্যনীতি পর্যালোচনা; এই প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রতিষ্ঠিত হয়। সমকালে এর সদস্য দেশ সংখ্যা ১৬৪, অনুমিত বাজেট প্রায় ২১০ মিলিয়ন ডলার। এর বর্তমান মহাপরিচালক রবার্টো আজভেডো। এই প্রতিষ্ঠানের উচ্চতম সিদ্ধান্তায়নের সংস্থা সদস্য দেশসমূহের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন যা ২ বছরে ১ বার সভায় মিলিত হয়ে মতৈক্যের ভিত্তিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রদান করে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন হয় সিঙ্গাপুরে ২০০১ সালে। এই সম্মেলনে এবং এরপরে ২০০৩-এ কানকুনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উন্নত সদস্য দেশসমূহ কর্তৃক তাদের দেশে কৃষিপণ্যের উৎপাদনের উপর ভর্তুকি রহিতকরণ আলোচিত হয়। এরপরে ২০০১ সালে দোহাতে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় চীনকে সদস্য পদ দেয়া হয় এবং কৃষি উৎপাদনে ভর্তুকি প্রদান ক্রমান্বয়ে রহিতকরণ এবং অনুন্নত দেশসমূহ হতে উন্নত দেশসমূহ অস্ত্র ব্যতীত সকল পণ্যের আমদানির ওপর শুল্ক ক্রমান্বয়ে তুলে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ গ্যাট চুক্তির অংশ গ্রহণকারী দেশ হিসাবে ১৯৭২ সাল থেকেই বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সদস্যদেশ হিসাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিজেকে পরিচালিত করে আসছে। দোহা দফার (২০০১) আলোচনা পর্যন্ত ৯ দফায় গ্যাট ও বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সদস্য দেশসমূহের গড় শুল্ক ১৯৪৭-এর ২২% থেকে, কেনেডি দফার শেষে ১৫% এবং উরুগয়ে দফার পর ৫% নেমে আসে। সমকালে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশসমূহ বিশ্ববাণিজ্যের ৯৬% এর বেশি প্রতিনিধিত্ব করে। অন্য কথায় বিশ্ববাণিজ্য সংস্থাকে পাশ কাটিয়ে বা এর বিধি ও রীতিকে অমান্য করে বিশ্ববাণিজ্যে কেউ ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে না। দোহা দফার চলমান আলোচনায় এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ঐক্যমত্য ও কার্যক্রম মূল দুক্ষেত্রে নেয়া সম্ভব হয়নি। প্রথমত. শিল্পজাত পণ্য ও সেবা সামগ্রীর ক্ষেত্রে মুক্ত বাণিজ্য সূত্র অনুসরণ করার বিপরীতে কৃষি উৎপাদনের ওপর ভর্তুকি অব্যাহত রাখা এবং কৃষিজাত পণ্যাদির ক্ষেত্রে ন্যায়নিষ্ঠ বাণিজ্যিক পদ্ধতি অনুসরণ করার বিষয়ে মতৈক্য স্থাপিত হয়নি। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহে উন্নত দেশসমূহে উৎপাদিত শিল্পজাত পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে মুক্ত বাণিজ্যের সূত্র অনুযায়ী সেসব উন্নত দেশে রফতানি করলে শেষোক্ত দেশসমূহ শিল্প ও সেবা ক্ষেত্রে তাদের উৎপাদন ও প্রসারণ ব্যাহত হবে বলে প্রায় সবসময় আশঙ্কিত থাকে। এজন্য উন্নত দেশসমূহে অনুন্নত দেশসমূহের রফতানির জন্য উৎপাদনে রাষ্ট্রের তরফ থেকে মাত্রাতিরিক্ত সহায়কী দেয়ার বিপক্ষে। এই মতভেদ সময়ান্তরে দূরীকরণের জন্য উন্নত ও অনুন্নত দেশসমূহ বাণিজ্য সম্পর্কিত বিনিয়োগ কার্যক্রম (ঞজওগঝ-ঞৎধফব জবষধঃবফ ওহাবংঃসবহঃ গবধংঁৎবং ) যুক্তি সঙ্গতকরণে অভিলাষী। অন্যদিকে অনুন্নত দেশসমূহ প্রযুক্তি ও অর্থের অপ্রতুলতা হেতু তাদের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে উন্নত দেশসমূহ হতে অনুন্নত বা উন্নয়নশীল পৃথিবীতে প্রযুক্তি ও অর্থের সীমান্তবিহীন মুক্ত প্রবাহ দাবি করে আসছে। বিশেষত উন্নত দেশের সদা উদ্ভাবনশীলতার বিপরীতে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহে তাদের রফতানির জন্য আর্থিক সহায়কী অব্যাহত বা যুগ যুগ ধরে দেয়ার বিপরীতে উন্নত দেশসমূহ তাদের আঁতেল সম্পত্তি প্রতিরক্ষণে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের সমর্থন পাওয়ার জন্য ক্রমাগত মাত্রায় চাপ দিয়ে আসছে (এ ধরনের চেষ্টাকে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার ভাষায় বাণিজ্য সম্পর্কিত আঁতেল সম্পত্তি বিষয়-ঞৎধফব জবষধঃবফ ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃরবং-ঞজওগঝ আখ্যায়িত করা হয়)। তেমনি অনুন্নত ও উন্নয়শীল দেশসমূহ চায় যে বাণিজ্য সম্পর্কিত বিনিয়োগ ক্ষেত্রে তারা উন্নত দেশের আপেক্ষিকতায় সহমর্মী সহায়কী দিতে পারবে। দ্বিতীয়ত. উন্নত দেশসমূহ কৃষি উৎপাদনে ভর্তুকি না দিলে তাদের কৃষকরা অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশসমূহে কৃষিজাত পণ্য সামগ্রীর রফতানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কিত। এই দুই ব্যত্যয় কাটানোর জন্য বহুপাক্ষিকতার সূত্রের বাইরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির আওতায় নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য উন্নত ও উন্নয়নশীলরা চেষ্টা করছে। ফলত, বহুপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার সীমিত থেকে সার্বিক মুক্ত বাণিজ্যের সুফল থেকে সকল দেশ বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশসমূহকে যথাযথ সুবিধা বা সময় দেয়ার এবং এসব দেশে প্রযুক্তি ও অর্থের বা বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য উন্নত দেশসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে বিশেষজ্ঞরা বলতে চাইছেন। উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশসমূহকে উন্নত দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বিশেষ প্রবেশাধিকার দেয়ার লক্ষ্যে আমদানি শুল্ক কমিয়ে অগ্রাধিকারের ব্যবস্থা (জেনারেলাইসড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স) ১৯৭৯ সালে প্রবর্তিত হয়। এ ব্যবস্থার মোড়কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশসমূহ বেশসংখ্যক অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ হতে নির্বাচিতভাবে আমদানি কৃষি ও শিল্পজাত পণ্যাদির ওপর উন্নত দেশসমূহ হতে আমদানি এসব পণ্য সামগ্রীর ওপর আরোপিত শুল্কের তুলনায় বেশ কম হারে শুল্ক আরোপন করে আসছে। এর অন্তর্নিহত লক্ষ্য সময়ান্তরে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহে ওইসব পণ্যের উৎপাদন নিপুণতর করে উন্নত দেশের পণ্য সামগ্রীর উৎপাদনের সঙ্গে প্রতিযোগী করে তোলা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নির্বাচিতভাবে কতিপয় দেশ থেকে আমদানীয় কৃষি ও বুনন পণ্যাদির আমদানি এভাবে উৎসাহিত করে। বাংলাদেশও ৩ বছর আগ পর্যন্ত তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত এই ধরনের সুবিধা ভোগ করেছে। সমকালীন পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এই সুবিধাপ্রাপ্তি সে দেশের থেকে সংশ্লিষ্ট আইনের সময়সীমা পার হওয়ার অজুহাতে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রদানীয় এই ধরনের শুল্ক রেয়াত মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় স্থিরিকৃত হয়। এই ক্ষেত্রে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার আওতায় এই ব্যবস্থা সংস্কার ও বিস্তার করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশসমূহের বাণিজ্যনীতি পর্যালোচনার বৃত্তে আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে বাণিজ্যরত দেশসমূহের মুদ্রার বিনিময় হার স্থিরিকরণ এবং এই প্রক্রিয়ায় অবমূল্যায়ন ও অধিমূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে বিবেচ্য। এক্ষেত্রে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে তাদের বিশ্লেষণ ও কার্যক্রম পরোক্ষভাবে সমন্বিত করে থাকে। বলাবাহুল্য, এক্ষেত্রে এই সংস্থার নীতি ও কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে সমন্বিত করার পরিধি বিস্তৃত। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়ান্তরিক ব্যত্যয় সত্ত্বেও বিশ্ববাণিজ্য সকল দেশের উপযোগ ও কল্যাণে বেড়েছে। ২০১৬ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে আংশিক অর্থনৈতিক অবরোধ ও এককভাবে চীন ও মধ্য প্রাচ্যের কতিপয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের পাঁয়তারা বিশ্ববাণিজ্য প্রসারের পথে অন্তরায় ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কর্তৃক সমকালে অনুসৃত শুল্ক যুদ্ধ বিশ্ববাণিজ্য প্রসারের পথে অনিশ্চয়তা ও অন্তরায় সৃষ্টি হয়েছে। মুক্ত বাণিজ্য প্রসারণের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের অনুপস্থিতি কিংবা দুর্বল পদক্ষেপ, উত্তর আটলান্টিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (নাফটা) সংশোধনের প্রস্তাব বা চাপ এবং ব্রিটেনের ব্রেকসিট নিয়ে প্রস্তাবনার শৈথিল্য বিশ্বব্যাপী মুক্ত বাণিজ্য পথক্রম থমকিয়ে দিয়েছে বলা চলে। এই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ বিশেষত এর অঙ্গ সংগঠন জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন (আনকটাড-টঘঈঞঅউ) এর অধিকতর সচেতন ও বিস্তৃত মতৈক্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া বিধেয় মনে হচ্ছে। লেখক : সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী
×