ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাজারীবাগকে মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

হাজারীবাগকে মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরের পর হাজারীবাগের ভূমি পুনঃউন্নয়নের মাধ্যমে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এলাকাটির সার্বিক উন্নয়ন করে একটি মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে সম্মতি প্রকাশ করেছে ট্যানারি মালিকদের সংগঠন। বিষয়টি অনুষ্ঠানিকভাবে ট্যানারি মালিক এ্যাসোসিয়েশনকে রাজউক দফতরে এনে জানিয়েছে সংস্থাটির চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেন তিনি। মঙ্গলবার হাজারীবাগে নগর পুনঃউন্নয়ন বিষয়ে রাজউকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, রাজউকের ডিটেল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি চীফ ফারুক আহমেদসহ রাজউকের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এক সময় ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্যে ক্রমাগত দূষিত হতো হাজারীবাগে পরিবেশ। তবে পুনঃউন্নয়ন হলে হাজারীবাগের চেহারা কীভাবে বদলে যাবে তা তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক এবং রাজউকের ড্যাপ পরিচালক আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, একটি উন্নত আবাসিক এলাকার মতো এখানে পার্ক, খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, মার্কেট, ইনডোর গেমস, সুইমিংপুল, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়সহ নানান ব্যবস্থা থাকবে। উক্ত এলাকাটি সম্পর্কে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ট্যানারি এলাকায় যে কোন প্রকল্প নেয়ার আগে ভূমির মান বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করতে হবে। ভূমির পুনঃউন্নয়নে পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান রাখার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রকল্প সূত্র জানায়, হাজারীবাগের পুনঃউন্নয়নের জন্য চিহ্নিত এলাকার আয়তন প্রায় ৬৫ দশমিক ৫৯ একর। এখানে ইমারতের মোট সংখ্যা ৮৫৫টি। এর মধ্যে শিল্প-কারখানা প্রায় ৬শ’টি। এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, যারা এখানে আছেন তাদের যেন কোন ক্ষতি না হয় এবং সঠিক হিস্যা যেন পায় সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে। ট্যানারি মালিকদের সহযোগিতা করতে চাই। তাদের চাওয়ার দিকে নজর রেখে কাজ করা হবে। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, হাজারীবাগকে ঘিরে রাজউক যে প্রকল্প নিয়েছে-ট্যানারি ও জমির মালিকরা যদি এর গুরুত্ব, সুবিধা বুঝতে পারেন তাহলে প্রকল্পটি এগিয়ে যাওয়ার পাশাপশি এটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে। ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ট্যানারি শিল্প এলাকায় ৬৫ একর জমি নিয়ে নিজেরাও ভাবছিলাম। আমরাও চাই এলাকাটি আধুনিক নগরী হোক। তবে আমাদের সমস্যা রাজউকে দেখতে হবে। এলাকার বেশিরভাগ প্লট ব্যাংক লোনে জড়িত। সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে এটি আধুনিক নগরী হোক আমরাও তা চাই।
×