ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাফুফে-এ্যাথলেটিক্স দ্বন্দ্বের মীমাংসা

প্রকাশিত: ০৭:১০, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

বাফুফে-এ্যাথলেটিক্স দ্বন্দ্বের মীমাংসা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একই সময়ে প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল এবং জাতীয় এ্যাথলেটিক্সের খেলার সূচী থাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ব্যবহার নিয়ে এ্যাথলেটিক্স ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল- অবশেষে তার অবসান ঘটেছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু। এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের দাবি- প্রায় মাসখানেক আগেই তারা বাফুফেকে জানিয়েছিল ২৪-২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ‘৪২তম জাতীয় এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা।’ কিন্তু বিষয়টি জানলেও এ নিয়ে রহস্যজনকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি বাফুফে। প্রিমিয়ার লীগের সূচীতে তারা ওই সময়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ রেখেছিল। বাফুফের সূচী অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধুতে অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল রহমতগঞ্জ ও চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যাচ। পরেরদিন একই সময়ে ব্রাদার্স ও শেখ রাসেলের খেলা। নির্ধারিত দিনে স্টেডিয়ামের ব্যবহার নিয়ে এমনই অনড় অবস্থানে যায় এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন যা শেষ পর্যন্ত তা নিরসনের বৈঠক হয় বাফুফে প্রতিনিধির সঙ্গে। এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের দাবি- এ্যাথলেটিক্স আয়োজনের জন্য মাঠের বরাদ্দ নেয়ার জন্য তারা আগেই অনুমতিও নিয়ে রেখেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে। তাই তারা সময়সূচী পরিবর্তন করতে রাজি না। অন্যদিকে বাফুফেও ওই দিনে ম্যাচ আয়োজন থেকে পিছায়নি। অথচ তিনদিনের প্রায় প্রতিদিনই এ্যাথলেটিক্সের বিভিন্ন ইভেন্ট আছে ৫-৬টা পর্যন্ত। তাই নির্ধারিত দিনে আসলে কে বরাদ্দ পাবে স্টেডিয়াম, সেটি নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছিল। অবশেষে সে সংশয় দূর হয়েছে। কারণ উভয়পক্ষই নিজেদের অনঢ় অবস্থান থেকে সরে এসেছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমঝোতা করে নিয়েছে এই দুই ফেডারেশন। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত লিখিত কোন বক্তব্য বাফুফে দেয়নি। তবে তারা মৌখিকভাবে এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনকে জানিয়েছে তারা এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতাকেই অগ্রাধিকার দেবেন। সম্ভবত তারা ম্যাচগুলো রিসিডিউল করবে। সেক্ষেত্রে ম্যাচগুলো হয়তো দু’-এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে পারে তারা।
×