ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ দুদকের

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ দুদকের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতরের একই পদে ও কর্মস্থলে দীর্ঘদিন থেকে দুর্নীতির শক্তিশালী বলয় তৈরি করেছেন এমন ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জরুরী ভিত্তিতে বদলি করার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে দুদকের পাঠানো এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হলো, তা দুদককে জানাতেও অনুরোধ করা হয়। অপরদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক দুদকের সুপারিশকৃতদের বিরুদ্ধে তদন্ত গ্রহণপূর্বক দুর্নীতি প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান জনকণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা চাই স্বাস্থ্যখাতকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত করতে। দুদক কর্তৃক শাস্তির জন্য সুপারিশ করা স্বাস্থ্য বিভাগের ২৩ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পৃথকভাবে তদন্ত করা হবে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে তা প্রমাণিত হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। স্বাস্থ্যখাতে কোন দুর্নীতিবাজের স্থান দিতে চাই না। দুদক সূত্র জানায়, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট এসব কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আসা অনেক অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। দুদকের তালিকায় থাকা স্বাস্থ্যের ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে আছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সহকারী প্রধান (পরিসংখ্যানবিদ) মীর রায়হান আলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক হাসান, প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সহকারী সাজেদুল করিম, উচ্চমান সহকারী তৈয়বুর রহমান, উচ্চমান সহকারী সাইফুল ইসলাম। চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী ফয়জুর রহমান, প্রধান সহকারী মাহফুজুল হক, কম্পিউটার অপারেটর আজমল খান, ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান সহকারী-কাম হিসাবরক্ষক আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ পাওয়ার কথা বলেছে দুদক। সিলেটের স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী নুরুল হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা গৌস আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আমান আহমেদ, অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার অপারেটর নেছার আহমেদ চৌধুরী, খুলনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ হোসেন, অফিস সহকারী মোঃ মাসুম, প্রধান সহকারী আনোয়ার হোসেনের নাম রয়েছে ওই তালিকায়। এছাড়া বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মোঃ রাহাত খান, উচ্চমান সহকারী জুয়েল, রংপুর স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী আজিজুর রহমান, স্টেনোগ্রাফার সাইফুল ইসলাম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে দুদক।
×