জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের পর এখন ভারত ও সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা। এরই মধ্যে ভারত থেকে প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। দালালের সহায়তায় রাতের আঁধারে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গা অভিযোগ করছেন, ভারতের আশ্রয় শিবিরে তাদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকার অভিযোগ তুলে সৌদি আরবও রোহিঙ্গাদের আটক করে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। খবর ওয়েবসাইটের।
বর্তমানে নানা অজুহাতে ভারত ও সৌদি আরব থেকেও আসছে রোহিঙ্গারা। সম্প্রতি ১৩ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। এসব রোহিঙ্গার প্রায় সকলে ৫ থেকে ৭ বছর সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিল। আরও ১৫০ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব রোহিঙ্গাদের কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়ার দাবি করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অবস্থান করা আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফেরত আসার চেষ্টা করছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে ৫-৬ বছর আগে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে পাড়ি দেয়া রোহিঙ্গারা এখন আবারও বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ভারতের জম্মু-কাশ্মীর, অসম, নয়াদিল্লী ও হায়দরাবাদসহ বিভিন্ন রাজ্যের আশ্রয় শিবিরে থাকা এসব রোহিঙ্গারা রাতের আঁধারে দালালের সহায়তায় সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছে। কক্সবাজারের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, ভারত সরকার রোহিঙ্গাদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাচ্ছে এমন খবরে তারা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ায় স্বজনদের খুঁজতে ভারত থেকে তারাও বাংলাদেশে চলে এসেছেন। ভারতে থাকা অন্য রোহিঙ্গারাও এখন বাংলাদেশমুখী বলে জানিয়েছেন তারা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: