ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক যোগ দিলেন প্রিয়াংকা গান্ধী

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক যোগ দিলেন প্রিয়াংকা গান্ধী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারতের লোকসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বোন প্রিয়াংকা গান্ধী। ভারতের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রিয়াংকার রাজনীতিতে প্রবেশ অনেকটা চমক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বুধবার ৪৭ বছর বয়সী প্রিয়াংকাকে ভারতের উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব ও অল ইন্ডিয়া কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে নিযুক্ত করা হয়। খবর এনডিটিভি, বিবিসি ও আনন্দবাজার অনলাইনের। এদিকে প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্রকে ভারতের প্রাচীন দল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ দেয়ায় দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস সমর্থকরা রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ ও মিষ্টি বিতরণ করে। অপরদিকে বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। প্রিয়াংকাকে রাজনীতিতে স্বাগত জানিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের খোঁচা দেন। বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র বলেন, এতে প্রমাণ হলো রাহুল নেতৃত্ব দিতে ¯্রফে ব্যর্থ। তবে ভারতের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বড় অংশই মনে করছেন, সক্রিয় রাজনীতিতে প্রিয়াংকার অভিষেকের ফসল ঘরে তুলবে কংগ্রেস। প্রিয়াংকার রাজনীতিতে প্রবেশের এই খবরে বুধবার সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছার ঝড় বয়ে যায়। অনেকে ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি ও রাজীব গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াংকাকে ‘ক্যারিসম্যাটিক নেতা হিসেবে উল্লেখ করে। প্রিয়াংকাকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের শুরুতেই বড় চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। প্রিয়াংকাকে এর আগেও রাজনীতির ময়দানে দেখে গেছে। কোন পদে না থেকেও ইন্দিরা গান্ধীর এ নাতনি মা সোনিয়া ও ভাই রাহুলের প্রচারে চষে বেড়িয়েছেন উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি ও আমেথির কংগ্রেস দুর্গগুলোতে। ভারতজুড়ে কংগ্রেসের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরেই তাকে দলের নেতৃস্থানীয় পদে দেখতে চাইলেও এতদিন এ বিষয়ে অনীহাই দেখা গেছে গান্ধী পরিবারের। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের দায়িত্ব নিলেন প্রিয়াংকা। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি হটাতে একেবারে মোক্ষম সময়েই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছাড়ল কংগ্রেস। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলেরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রিয়াংকাকে। অপরদিকে পশ্চিমাঞ্চল দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সমর্থকদের এই দুইজনের ওপর আস্থা রাখারও অনুরোধ জানিয়েছেন রাহুল। রাহুল বলেন, প্রিয়াংকা- জ্যোতিরাদিত্যর ওপর আস্থা রাখুন, ওরা ভাল ফল করে দেখাবে। নেতাকর্মীরা বলছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন পরবর্তী বাজে সময় উৎরে বিভিন্ন রাজ্যে ভাল ফল করছে কংগ্রেস। এমন সময়ে প্রিয়াংকার আবির্ভাব দলের পালে হাওয়া দেবে, জোরাল করবে বিজেপিবিরোধী ঐক্যকেও। কংগ্রেস সমর্থকরা তার মধ্যে ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিচ্ছবিও দেখতে পান। দাদির মতো পরীক্ষিত না হলেও প্রিয়াংকা রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা দিয়ে কংগ্রেসকে আবারও ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করবেন বলেও আশা করছে কংগ্রেস সমর্থকরা।
×