ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশকে মারধর

ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জন রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জন রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে পুলিশকে মারধর করার ঘটনায় পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন মিরনসহ ৯ জনকে ১ দিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। এর আগে বুধবার দুপুরে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৯ জনের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই ৯ জন হচ্ছেন পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসেন, ওয়াহিদুল ইসলাম, আরিফ, শেখ রহিম, রাসেল, শাহ্ আলম চঞ্চল, আরিফ হোসেন, কাওসার আহমেদ সাইফ ও মোয়াজ্জেম। এদিকে থানার ৩৯ নম্বর মামলার ৭ আসামির রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার তাদের জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সাতজন হচ্ছেন বিএম আসলাম হোসেন, মেহেদী হাসান, জুয়েল, শরিফুল ইসলাম, সোহেল তালুকদার, সম্রাট ও সাখাওয়াত হোসেন। এর আগে বুধবার পল্টনের একটি ভবনে অর্থ আত্মসাত, ভাংচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন মিরনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। পল্টন থানার ৩৯ নম্বর মামলায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত এবং সেই অর্থ চাইতে গেলে বাদী আসলাম আহসান তুষারকে মারধর করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তুষার ও তার আত্মীয়দের কাছ থেকে ২০১৮ সালে ১০ লাখ ৮০ হাজার অর্থ আত্মসাত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৬, ৪২০, ৫০৬, ৩২৩ এবং ৪৪২ নং ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। পল্টন থানার যেই মামলায় ৯ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে সেটির বাদী এসআই আশরাফুল হক। এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে ২২ তারিখ সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করছে এমন তথ্য পেয়ে পল্টনের বিশ্বাস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ভবনে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে আসামিরা অফিসের চেয়ার, টেবিল ও কম্পিউটার ভাংচুর করছে। বাদী (এসআই আশরাফুল হক) আসামিকে ভাংচুর না করার অনুরোধ করলে তারা পুলিশকে মারধর করে। সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশকে আক্রমণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
×