ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে শিক্ষককে ফাঁসাতে গিয়ে ধরা খেল ২ পুলিশ

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

রাজশাহীতে শিক্ষককে ফাঁসাতে গিয়ে ধরা খেল ২ পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নারীকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করে এক কলেজ শিক্ষককে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) দুই সদস্য। নগরীর চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত এই দুই পুলিশের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আরএমপি কমিশনারের কাছে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এ দুই পুলিশ সদস্য হলেন- চন্দ্রিমা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল মমিন ও কনস্টেবল গোলাম মোর্তজা। এএসআই মমিন এখন আরএমপির পুলিশ লাইনে প্রশিক্ষণে থাকলেও কনস্টেবল মোর্তজাকে নিয়ে চন্দ্রিমা থানা এলাকায় একটি সরকারী কলেজের একজন শিক্ষককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে নগরীর শিরোইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ সরকারী কলেজের শিক্ষক ভুক্তভোগী আশরাফুল আলম বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে শিরোইল এলাকায় হাঁটতে বের হয়েছিলেন তিনি। তখন দেখেন, রাস্তার পাশে দুইজন ব্যক্তি একজন মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা হঠাৎ করে আমাকে ডেকে বলেন আমি নাকি তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছি। এ সময় ওই দুই ব্যক্তি পুলিশের পরিচয় দিয়ে আমাকে থানায় নিতে চান। আমি প্রতিবাদ করলে তারা ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই শিক্ষক জানান, তিনি ২০ হাজার টাকা দিতে রাজি না হলে তার কাছে ১২ হাজার টাকা চাওয়া হয়। টাকা দেয়ার নামে তিনি কৌশলে তাদের নগরীর ভদ্রা মোড়ে নিয়ে যান। এরপর পরিচিত লোকদের নিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করেন। এ সময় সঙ্গে থাকা মেয়েটি ঘটনা আঁচ করতে পেরে সটকে পড়েন। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এরপর চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুন কবীর তাদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এ বিষয়ে কথা বলতে এএসআই আবদুল মমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কথা হয় কনস্টেবল গোলাম মোর্তজার সঙ্গে। তিনি বলেন, আসলে বিষয়টি সে রকম কিছু না। আমাদের কথা কেউ শুনতে চাইছে না। তবে বিষয়টি কি রকম জানতে চাইলে তিনি আর কিছুই বলেননি।
×