অনলাইন রিপোর্টার ॥ খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালানোর কথা বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত ভেজাল নিয়ন্ত্রণে আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলবে। আমি ভেজালবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করা সব সংস্থাকে এ কার্যক্রম আরও জোরদারের নির্দেশ দিচ্ছি।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ভেজালবিরোধী অভিযানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘খাদ্যে ভেজাল বিষয়টি জনগণে উৎকণ্ঠার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। খাদ্যে ভেজালের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে নাগরিকদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে। প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন খাদ্যে ভেজাল, মাদক, সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এই বার্তা ইতোমধ্যে সব সংস্থার কাছে পৌঁছে গেছে যার ফলে সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি থেকে আমরা খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান শুরু করেছিলাম। আমরা আগে শুধু আর্থিক জরিমানা করতাম। ভেজাল নিয়ন্ত্রণে আমরা এবার কঠোর হয়ে অভিযানের সময় অনেক জনকে বিভিন্ন মেয়াদী কারাদণ্ড দিয়েছি। সেই সঙ্গে আর্থিক জরিমানা, অনেকের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল এবং বিভিন্ন রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। নাগরিকরা আমাদের এমন অভিযানের সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি এমন অভিযান অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা আবারও ভেজাল বিরোধী অভিযান শুরু করছি। খাদ্যে ভেজাল বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে না আনা পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর এই অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাবো আপনারা কঠোরভাবে অভিযান জোরদার করবেন।’
হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক এবং সংশ্লিষ্টদের বলবো খাদ্যে ভেজাল বিষয়ে আপনারা সংশোধন এবং সতর্ক হয়ে যান। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারদণ্ডের মেয়াদ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও আরও বাড়ানো হবে। রেস্টুরেন্টগুলোতে আমাদের অভিযান শুধু সীমাবদ্ধ থাকবে না, পাশাপাশি যারা ওষুধের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে।’
এ সময় মেয়র বেইলি রোডে অবস্থিত নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁয় ঢুকে ভেতরের পরিবেশ পরিদর্শন করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খাদ্যে ভেজালবিরোধী বিশেষ অভিযানে সহায়তা করছে নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব), বিএসটিআই, ওষুধ প্রশাসন পরিদফতরসহ অন্যান্য সংস্থা।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন, নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি তুষার আহমেদ, র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান, বিএসটিআই’র প্রতিনিধি আজহারুল হক, ওষুধ প্রশাসন পরিদফতরের প্রতিনিধি মাহবুব হোসেন প্রমুখ।