ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তপন মাহমুদের সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর পূর্তিতে আনন্দ আয়োজন

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯

  তপন মাহমুদের  সঙ্গীত জীবনের  ৫০ বছর পূর্তিতে  আনন্দ আয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আনন্দ আয়োজনে উদ্যাপিত হলো বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী তপন মাহমুদের সঙ্গীত জীবনের পঞ্চাশ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। শিল্পীর বেতার-টেলিভিশনে (১৯৬৯-২০১৯) সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘জয়তু তপন মাহমুদ’ শীর্ষক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নাট্যজন ম. হামিদ, অতিরিক্ত সংস্কৃতি সচিব রোখসানা মালেক ও বাচিক শিল্পী আশরাফুল আলম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সঙ্গীতশিল্পী মকবুল হোসেন ও পীযূষ বড়ুয়া । স্বাগত বক্তব্য দেন সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম। সংবর্ধনার মঞ্চে তপন মাহমুদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার সহধর্মিণী বুলা মাহমুদ। সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তপন মাহমুদের গাওয়া ৫০টি রবীন্দ্রসঙ্গীত ও ১২টি হারানো দিনের গানে সজ্জিত ‘সুদূরের পিয়াসী’ শীর্ষক সঙ্গীত সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করা হয় অনুষ্ঠানে। চারটি সিডি দিয়ে সংকলনটি সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সিডি তিনটি। সেগুলো হলো ‘পরশ পাবার প্রয়াসী, ‘পলাতকা ছায়া ফেলে’ ও ‘ফুল ফোটানোর খেলা’। ‘আলোর ঝর্ণাধারা’ নামে সিডিটি সাজানো হয়েছে বহুল জনপ্রিয় ১২টি হারানো দিনের গান দিয়ে। গানগুলো হলো সুরের আকাশে তুমি যে গো, কতদিন পর এলে একটু বসো, এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে, এই রাত তোমার আমার, বনতল ফুলে ফুলে ঢাকা, এ কূলে আমি, এই বালুকা বেলায় আমি, আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা, এই পৃথিবীতে সারাটি জীবন, আর কত রহিব শুধু পথ চেয়ে, মা গো ভাবনা কেনো ও এক গোছা রজনীগন্ধা। অনুষ্ঠানে গানে গানে তপন মাহমুদকে শুভেচ্ছা জানান মহাদেব ঘোষ, আনিসুর রহমান সিনহা, সুদেষ্ণা সান্ন্যাল ও বিশ্বরূপ রুদ্র। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে বৈতালিক। তপন মাহমুদকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান লায়লা হাসান ও সাজেদ আকবর। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা জানায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা, উদীচী, সুরের ধারা, বৈতালিক, রবি রশ্মি, গীতিশতদল, মন্দিরা, সঙ্গীতভবন, উত্তরায়ণ, গীতাঞ্জলি, মহীরূহ, সৃজনশীল গানের দলসহ বিভিন্ন সংগঠন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আফরোজা কনা। এর আগে সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের শিল্পীদের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘যে তোমায় রুদ্র’ ও ‘বিশ্ব সাথে যোগে যেথায়’ শিরোনামে দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। ‘আলো আমার আলো আলোয় ভুবন ভরা’ গানের সুরে স্পন্দনের শিশুদের নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে বরণ করে নেয়া হয় তপন মাহমুদকে । আলোচনায় বক্তারা তপন মাহমুদকে একুশে পদকে ভূষিত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। রফিকুল ইসলাম বলেন, তপন মাহমুদ এখন যেভাবে সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আমাদের অনাবিল আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন তা অব্যাহত থাকুক। তিনি শুদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীত সাধনায় নিজেকে যেভাবে বিলিয়ে দিচ্ছেন তা সাধুবাদ পাওয়া যোগ্য। আমি তাকে সাধুবাদ জানাই। তিনি একজন কর্মবীরও। তপন মাহমুদ শতায়ু হবেন। জীবনের শেষ দিনটিতেও যেন তার কণ্ঠে গান থাকে। সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, তপন মাহমুদ এখন যেমন আছে, আশা করি সামনের দিনগুলোতে তেমনি থাকবে তার সুমধুর কণ্ঠ দিয়ে।
×