ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লিবার্টি ফ্যাশন আবারো খুলে দেয়ার দাবি

প্রকাশিত: ০৮:০৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

লিবার্টি ফ্যাশন আবারো খুলে দেয়ার দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডের স্বেচ্ছাচারিতায় বন্ধ হয়ে যাওয়া লিবার্টি ফ্যাশন ওয়্যারস খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন। তিনি জানান, প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে এই পোশাক কারখানাটি। মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অ্যাকর্ড অর্থনৈতিক দুর্নীতির উদ্দেশ্যে নিজস্ব স্বার্থ হাসিল করতে সেচ্ছাচারিতায় লিবার্টি ফ্যাশন বন্ধ করে রেখেছে। কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে এ কাজটি করেছে অ্যাকর্ড; যা অন্যায় ও অনৈতিক। কোনো প্রকার নিয়মনীতি না মেনেই অ্যাকর্ড পাঁচ বছর আগে বলেছিল লিবার্টি ফ্যাশনের ভবন যেকোনো সময় ভেঙে যাবে। লিবার্টির চেয়ারম্যানের দাবি আধুনিক কাঠামোতে ভবন তৈরি করা হয়েছে। বুয়েট থেকে পরীক্ষাও করা হয়েছে। তারা এটি ভালো বলেছে। এরপর আদালতও বিষয়টির সুরাহা করেছে। কিন্তু অ্যাকর্ড কারো কথা শুনছে না। মোজাম্মেল হক বলছেন, লিবার্টি ফ্যাশনে পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করতো। বছরে ৩৫০ কোটি টাকার তৈরি পোশাক রফতানি করা হতো। এখন প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার অর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে লিবার্টি ফ্যাশনে ব্যাংকের পাওনা হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা। আটকে আছে ১৫০ কোটি টাকার নগদ বিনিয়োগ। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পরের মাসে টেসকোর প্রকৌশলী সংস্থা মিডওয়ে কনসালট্যান্সি সার্ভিসকে (এমসিএস) দিয়ে লিবার্টির কারখানা ভবন নিরীক্ষা করানো হয়। কারখানা পরিদর্শন করে এমসিএস প্রতিবেদন দিয়ে বলেছিল, ‘কারখানার ২ নম্বর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। ৬০ ঘণ্টার মধ্যেই ধসে পড়বে। এর পরপরই লিবার্টি থেকে পোশাক না কেনার ঘোষণা আসে। একই সঙ্গে অন্য ১১ ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয় টেসকো। তখন ওই সব ক্রেতাও লিবার্টির ক্রয়াদেশ বাতিল করে। মোজাম্মেল হকের দাবি, বুয়েট ও বিজিএমইএর প্রকৌশলী এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর (ডিআইএফই) নিয়োগকৃত প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান পৃথকভাবে কারখানা ভবনটি পরিদর্শন করে ঝুঁকিমুক্ত বলেছে। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএ লিবার্টিতে নতুন করে পরিদর্শন কার্যক্রম চালাতে অ্যাকর্ডের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করে। তবে অ্যাকর্ড তাতে সায় দেয়নি। তাদের যুক্তি, টেসকো তার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে লিবার্টির নাম সুপারিশ করেনি। তাই তাদের কিছু করার নেই। এরপর অ্যাকর্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে লিবার্টি কর্তৃপক্ষ। মামলার রায় লিবার্টির পক্ষে গেলেও অ্যাকর্ড কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন মোজাম্মেল হক। এখন আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
×