ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টিকফা কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ চাই : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

টিকফা কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ চাই  : বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টিকফা কার্যকর করতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেছেন, এদেশে পণ্য রফতানি বাড়াতে হলেও মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬ বিলিয়ন ডলারের উপর পোশাক রফতানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এদেশে রফতানি ১ দশমিক ৭ বিলিয়র ডলার। বড় অঙ্কের এই বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, এটা কমিয়ে আনতে হবে। এদেশে মার্কিন পণ্য রফতানি বাড়ানো প্রয়োজন। রবার্ট মিলারের এই প্রসঙ্গ টেনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে পণ্য রফতানির মাধ্যমে। বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। বিনিয়োগ করে পণ্য উৎপাদান ও তা রফতানি করতে হবে। তিনি বলেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে বিনিয়োগ সহজীকরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ট্যাক্স হলিডেসহ লভ্যাংশ তুলে নিতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামোখাতের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি এদেশে মার্কিন বিনিয়োড় দ্রুত বাড়াতে হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত। ওই সময় খোলা মনে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মাস দুয়েক আগে দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে আসা রাষ্ট্রদূতকে আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তাদের জন্য সহজে ব্যবসা করার পথ তৈরি করে দেবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি, আমাদের দেশে বিনিয়োগ কর, ব্যবসা সহজকরণ করে দেব। তিনি বলেন, উনিও দুই মাস হয়েছে এসেছেন, আমি বললাম, তুমিও নতুন, আমি হচ্ছি এক মাস (দায়িত্বে), চল হাত মেলাই একসাথে সামনের দিকে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য কী করতে পারি। তিনি বলেছেন, আমি তোমাদের বড় একজন সেলসম্যান হতে পারব তোমাদের পক্ষে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দিল্লিতে যারা এসে ঘুরে যায় তাদের সে (রাষ্ট্রদূত) বাংলাদেশে ডাকতে চেয়েছে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে কমার্শিয়াল কাউন্সেলর নেই সেটা নিয়ে কথা হয়েছে, উনি বলেছেন খুব শিগগিরই এর ব্যবস্থা হবে। আমরা দুজন একসাথে কাজ করে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। খরচ বাড়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, তাদের লোকদের এই মেসেজটা পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেছি। জিএসপির সমস্যাও দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন নতুন রাষ্ট্রদূত। আমার মনে হয়েছে উনি খুবই পজিটিভ মানুষ। সামনের দিনগুলোতে দুজন একসাথে কাজ করলে আমাদের ব্যবসা ইমপ্রুভ করবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশে এনার্জি, পাওয়ার, শিপিং, এলএনজি এবং এয়ারলাইন্স সেক্টরে প্রায় ২ বিলিয়নের বেশি মার্কিন বিনিয়োগ রয়েছে। এ বিনিয়োগের পরিমান অনেক বৃদ্ধির সুযোগ এসেছে। এতে করে উভয় দেশ লাভবান হবে। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) এস এম রেদওয়ান হোসেন, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী এবং রফতানি শাখার অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।
×