স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ নগরীর সিদ্ধিরগঞ্জে শেফালী বেগম (৫০) ও মামুন (৩৫) নামে মানবপাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর সদস্যরা। গতরাত সাড়ে ১১টায় আটি ভুমিপল্লীর আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে প্রথমে শেফালী বেগমকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে কদমতলী এলাকা থেকে মামুন নামে আরো এক মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা।
এ সময় শেফালী বেগমের বাসা থেকে মানবপাচারের শিকার এক যুবতী (২২) কে উদ্ধার করা হয়। রবিবার বিকেলে র্যাব-১১ এর সিপিএসসি’র নারায়ণগঞ্জের আদমজীর ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, শেফালী বেগম দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ফ্যামিলি বাসার ছদ্মবেশে পতিতাবৃত্তির ব্যবসা করে আসছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একটি সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে যুবতী মেয়েদের অধিক বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারিত করে নিয়ে এসে জিম্মি করে জোরপূর্বক অসামাজিক (পতিতাবৃত্তি) কাজে ব্যবহার করত।
তাছাড়া তার অধীনে অনেক যৌনকর্মী ও খদ্দের রয়েছে। গ্রেফতারকৃত মামুন তার একজন নিয়মিত খদ্দের। পরিচয়ের সূত্রে মামুন উদ্ধারকৃত যুবতীকে অধিক বেতনে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে। প্রথমে যুবতীতে ঢাকার কমলাপুর এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে রাখে। মামুন হোটেল কক্ষে জোরপূর্বক ওই যুবতীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে চাকুরী দেয়ার নামে প্রতারণা করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই যুবতীকে শেফালি বেগমের হাতে তুলে দেয়। শেফালি বেগম ওই যুবতীকে তার বাসায় জিম্মি ও মারধর করে নিয়মিত খদ্দেরদের সাথে অসামাজিক কাজে বাধ্য করত।
গ্রেফতারকৃত শেফালি বেগম ও মামুনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানায়।