ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লালমনিরহাটে আ'লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫০

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

লালমনিরহাটে আ'লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫০

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পাওয়াকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মুর্হুমুর্হু গুলির শব্দে মূহুর্তে রণক্ষেত্রে পরিনিত হয়। এতে আহত হয়েছেন পুলিশসহ উভয় গ্র“পের অন্তত ৫০ জন। রবিবার সকালে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে প্রায় দুই ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ জানায়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল আলম। এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল ইসলাম সুরুজের ছেলে ইমরুল কায়েস ফারুক। যিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। রফিকুল আলমকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় এই মনোনয়ন প্রত্যাশী ইমরুল কায়েস ফারুকের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে রবিবার ঢাকা থেকে রংপুর হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রফিকুল আলম। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে তার অনুসারীরা সকালে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে গংগাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এলে মনোনয়ন বঞ্চিতদের অনুসারীরা তাদের পথ রোধ করে। এতে দুই গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে উভয়পক্ষের পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। এসময় ভাঙচুর করা হয় একাধিক মোটরসাইকেল। আহতদের উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা হাসপাতাল, লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এসময় আতঙ্কে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেন দোকানিরা। গুলির শব্দও শোনা যায় বেশ কিছু। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম নাসির উদ্দিন সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আতঙ্কের কিছু নেই। পুরো পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
×