ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে বারি’তে দুই দিনব্যাপী ‘বারি প্রযুক্তি প্রদর্শণী ২০১৯’ সম্পন্ন

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

গাজীপুরে বারি’তে দুই দিনব্যাপী ‘বারি প্রযুক্তি প্রদর্শণী ২০১৯’ সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) দুই দিনব্যাপী ‘বারি প্রযুক্তি প্রদর্শণী ২০১৯’ সোমবার সম্পন্ন হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ প্রদর্শণীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শণীর দ্বিতীয় দিনে উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তির উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, বিভিন্ন মাঠ ও ল্যাব পরিদর্শন এবং মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪’শ জন কৃষক-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন। সকালে কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠানে বারি’র মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ প্রধান অতিথি ছিলেন। বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আব্দুল ওহাব-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মদন গোপাল সাহা, পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. লুৎফর রহমান, গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মাহবুব আলম প্রমুখ। আয়োজকরা জানান, বারি এ পর্যন্ত ২০৮ টিরও বেশি ফসলের ৫৩১টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিডসহ), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৫০৫টি অন্যান্য প্রযুক্তিসহ ১,০৩৬ টিরও বেশি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। ‘বারি প্রযুক্তি প্রদর্শনী ২০১৯’-এ বারি কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে উদ্ভাবিত এসকল প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকার দানা জাতীয় শস্য, কন্দাল, সবজি, ডাল, তৈলবীজ, ফল ও অন্যান্য ফসলের উপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও গবেষণার পাশাপাশি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি/তথ্য হস্তান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করাও এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব। বারি উদ্ভাবিত এসব বীজ ও প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষক-কৃষাণীদের ধারনা দিয়ে এগুলো মাঠ ও কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দুই দিনব্যাপি এই প্রযুক্তি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বারি’র সকল স্টেকহোল্ডার তথা পলিসিমেকার, জনপ্রতিনিধি, বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নার্সভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিএডিসি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, এনজিও ও কৃষিসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা/বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং কৃষক প্রতিনিধিসহ দু’দিনে প্রায় ৮০০ জন (প্রতিদিন চার’শ জন করে) প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। প্রদর্শনীর প্রথম দিনের দ্বিতীয় অংশে অংশগ্রহণকারী স্টেকহোল্ডারগণ বিভিন্ন স্টল, মাঠ ও ল্যাব পরিদর্শন এবং মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
×