ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে অবৈধ ইটভাটিতে জরিমানা, চিমনি ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আমতলীতে অবৈধ ইটভাটিতে জরিমানা, চিমনি ভাংচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা,আমতলী, বরগুনা ॥ দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় স্ব-চিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় বরগুনার আমতলীতে দুইটি অবৈধ ইটভাটি ভাংচুর করে দুই লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভুমি) কমলেশ মজুমদার এ অবৈধ ইটভাটিতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছেন। জানাগেছে, আমতলী উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নে ২৫ টি ইটভাটি রয়েছে। এর মধ্যে ১১ টি ড্রাম চিমনি ইটভাটি। আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়ায় জেবিবি, চন্দ্রায় এইচএসবি, পাতাকাটায় এইচবিএম, তালুকদার বাজারে এইচআরটি, কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালায় বিবিসিকো, হাজারটাকার বাঁধে এনবিএল, ,কৃষ্ণনগরে এএমবি ও আমতলী সদর ইউনিয়নের নাচনাপাড়ায় এমসিকে, মহিষডাঙ্গা ও হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রামে দুইিটি ইটভাটি রয়েছে। এ ইটভাটার মালিকরা পরিবেশ নিয়ন্ত্রন আইন অমান্য করে করাতকল বসিয়ে গ্রাম ও বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এনে করাতকলে কেটে ইটভাটায় পোড়াচ্ছে। এতে সাবাড় হয়ে যাচ্ছে গ্রাম ও বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। বিগ্নিত হচ্ছে পরিবেশ। ইটভাটার কালো ধোয়ায় পরিবেশ দুষিত হয়ে গাছপালা মরে যাচ্ছে। বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে ইটভাটা সংলগ্ন গ্রাম গুলো। এ বিষয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারী “আমতলীতে ইটভাটিতে করাতকল, সাবাড় হচ্ছে বৃক্ষ” শিরোনামে দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় একটি স্ব-চিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রবিবার সন্ধ্যায় আমতলী ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার ইট প্রস্তুত ও ভাটি স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইন ও অবৈধভাবে করাতকল স্থাপনের অপরাধে চাওড়া চন্দ্রার এইচএসবি ভাটিতে এক লক্ষ ষাট হাজার ও কাউনিয়ার জেবিবি ভাটিতে আশি হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। ওই ভাটি দুটির চিমনি ভেঙ্গে পানি দিয়ে ডুবিয়ে দিয়েছে এবং করাতকলের যন্ত্রাংশ খুলে এনে থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আমতলী উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার বলেন, অবৈধভাবে ইট প্রস্তুত ও ভাটি স্থাপন করা ও করাতকল স্থাপন করায় দুইটি ইটভাটিতে দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা ও ইটভাটি ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন অবৈধ করাতকলের যন্ত্রাংশ খুলে এনে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
×