ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশকে আইনে রূপ দিতে সংসদে বিল উত্থাপিত

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশকে আইনে রূপ দিতে সংসদে বিল উত্থাপিত

সংসদ রিপোর্টার ॥ ইপিজেডস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারিকৃত ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশ, ২০১৯’ কে আইনে রূপ দিতে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯’ নামে একটি বিল সোমবার সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি উত্থাপনের আগে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম আপত্তি জানালে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। ইপিজেড শ্রম আইনের মতো একই রকমের একশ’র বেশি আইন এবং অধ্যাদেশ আছে মন্তব্য করে তিনি শ্রম আইন ২০০৬সহ বেশ কয়েকটি আইনের উল্লেখ করে বলেন, আইনটির কোন প্রয়োজন নেই। এই ধরণের আইনের কোন সুফল পাওয়া যাবেনা। এই আইনের বিষয়গুলো বিদ্যমান আইনেই আছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পক্ষে যে মন্ত্রী বিলটি উত্থাপন করছেন তিনি হয়তো এটা জানেন না। একই রকম বিষয়ে বিভিন্ন আইনের কারণে একেক রকম শাস্তি হয়। তিনি বিলটি সংসদে উত্থাপন না করার আহবান জানান। জবাবে বিল উত্থাপনের প্রস্তাবকারি মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তাঁর বক্তব্যের কোন জবাব না দিয়ে বলেন, সংসদ সদস্য নিজেই বলেছেন যে অনেকগুলো অধ্যাদেশ আছে। আগে বিলটি আগে সংসদে আসুক। তারপর আইনের ব্যাপারে কোন বক্তব্য থাকলে কিংবা সংশোধনী থাকলে তিনি দিক। তিনি আইনটি উত্থাপনের পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করেন। পরে স্পীকার বিষয়টি ভোটে দিলে কণ্ঠভোটে আপত্তি নাকচ হওয়ার পর বিলটি উত্থাপন করেন মন্ত্রী। বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) এর ইপিজেডস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগ, মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিন্ম মজুরীর হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপুরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, ইত্যাদি বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্য এবং শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন এবং ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্ক বিষয়ক বিদ্যমান আইন সংশোধন ও সংহত করতে বিলটি আনা হয়েছে।
×