ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বেবিচকের ৪ প্রকৌশলী ও ঠিকাদার দুর্নীতির মামলায় কারাগারে

প্রকাশিত: ০৯:৫১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বেবিচকের ৪ প্রকৌশলী ও ঠিকাদার দুর্নীতির মামলায় কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ৪ প্রকৌশলী ও এক ঠিকাদারকে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের জন্য জেনারেটর ক্রয়ে দুর্নীতির দায়ে তাদের সোমবার কারাগারে পাঠিয়েছে কক্সবাজারের একটি আদালত। দুপুর একটার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক খোন্দকার হাসান মোঃ ফিরোজ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলেন- মেসার্স ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এবং প্রকল্পের ঠিকাদার শাহাব উদ্দীন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ভবেশ চন্দ্র সরকার, কক্সবাজার বিমান বন্দরের সাবেক ব্যবস্থাপক হাসান জহির, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মিহির চাঁদ দে এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল আফরোজ। মামলার আরেক অভিয্ক্তু কক্সবাজার বিমান বন্দরের সাবেক সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম ম-ল আদালতে হাজির হননি। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কক্সবাজার বিমানবন্দরের জন্য একটি ৩০০ কেভিএ জেনারেটর ক্রয়ের নিমিত্তে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কতিপয় কর্মকর্তা ও ঠিকাদার যোগসাজশ করে জেনারেটরটি ক্রয় না করেই ক্রয় দেখিয়ে ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। এ অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ৬ জানুয়ারি দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চল-২ এর উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় প্রকল্পের ঠিকাদার মেসার্স ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শাহাব উদ্দীন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ভবেশ চন্দ্র সরকার, কক্সবাজার বিমানবন্দরের সাবেক ব্যবস্থাপক হাসান জহির, নির্বাহী প্রকৌশলী মিহির চাঁদ দে, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল আফরোজ এবং কক্সবাজার বিমান বন্দরের সাবেক সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম ম-লকে অভিযুক্ত করা হয়। দুদকের কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাডভোকেট আবদুর রহিম জানান, দুর্নীতির এ মামলায় উচ্চ আদালত অভিযু্ক্তুদের চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এ সময় তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়। উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তাদের পাঁচজন কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাদের পক্ষে এ্যাডভোকেট নুরুল মোস্তফা মানিকের নেতৃত্বে ২০ জনের অধিক আইনজীবী শুনানি করে এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন দুদকের কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাডভোকেট আবদুর রহিম। তাকে সহযোগিতা করেন সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। এদিকে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর পর সিভিল এভিয়েশনের পরবর্তী সম্পর্কে আজ মঙ্গলবার বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশন।
×