ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুত বিল বকেয়া ॥ সংসদে প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুত বিল বকেয়া ॥ সংসদে প্রতিমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারী সংস্থাগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুত বিল বাকি পড়েছে। বিল বাকি রাখতে বাদ যায়নি আধা সরকারী-বেসরকারী বা ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানও। সবশেষ ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এসব সংস্থার কাছে মোট ৬ হাজার ৮৮২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বিদ্যুত বিল বাকি রয়েছে। বিল বকেয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের লিখিত জবাবে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর দেয়া তথ্য মতে, বিদ্যুত বিল বকেয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ে ৩২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার বিদ্যুত বিল বাকি পড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে বিল বাকি পড়েছে ১৪২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রতিমন্ত্রী জানান, তৃতীয় অবস্থানে থাকা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ১২৮ কোটি ৩ লাখ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে ৭৮ কোটি ১৬ লাখ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪৮ কোটি ২২ লাখ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ২৭ কোটি ১১ লাখ টাকা বিদ্যুত বিল বাকি রয়েছে। বিদ্যুত বিল বকেয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে মাত্র ২ হাজার টাকা বিদ্যুত বিল বাকি পড়েছে। মন্ত্রণালয় ওয়ারি তালিকা অনুযায়ী ৪০টি মন্ত্রণালয়ের কাছে বিদ্যুত বিল বাকি ৬৪২ কোটি ৯৮ লাখ, সরকারী সংস্থাগুলোর কাছে বাকি ৬৪২ কোটি ৯৮ লাখ, আধা সরকারী/বেসরকারী সংস্থার কাছে ৭৬৩ কোটি ৯০ লাখ, ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫ হাজার ৪৭৬ কোটি ৬ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে বিদ্যুত বিল বকেয়া রয়েছে ৬ হাজার ৮৮২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। প্রতিমন্ত্রী জানান, বকেয়া বিদ্যুত বিল আদায়ের লক্ষ্যে টাক্সফোর্স গঠন করে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিল খেলাপী ও অবৈধ বিদ্যুত ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি জানান, সরকারী বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ হতে বিদ্যুত বিল খাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগকে প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ, সরকারী/আধা সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের কাছে বকেয়া পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা হয়।
×