ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যাস সঙ্কট মেটাতে এলএনজি আমদানি ॥ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:১৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পেট্রোলিয়াম গ্যাস এলপিজি ব্যবহারে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পর এখন দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে। রবিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে বিদ্যুত, জ¦ালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশের বেসরকারীখাতের একটি কোম্পানির ঋণ সংস্থান সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এলপিজি ও সিলিন্ডার উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন ও সরবরাহকারী জেএমআই গ্রুপ। চট্টগ্রামের সীতাকু-ে নতুন এ প্রকল্প করবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রকল্পটিতে ৩৮০ কোটি টাকা সিন্ডিকেট ঋণ সহায়তা করছে অগ্রণী ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। এছাড়া সিন্ডিকেট ঋণে যুক্ত রয়েছে এনআরবি ব্যাংক, উত্তরা ফিন্যান্স ও সৌদি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড এগ্রিকালচারাল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি (সাবিনকো)। প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, বাসাবাড়িতে দুই চুলায় যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার হয়, তা শিল্প-কারখানায় দিলে ২০০ মানুষের চাকরির ব্যবস্থা হয়। তাই বর্তমান সরকার রান্নার জন্য পাইপলাইনের গ্যাসের পরিবর্তে বোতলজাত গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস সঙ্কট মেটানোর জন্য এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এ বছরের মধ্যে গ্যাস সঙ্কট দূর করা হবে। আগামীতে আমাদের সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি কীভাবে দেয়া যায়, তা নিয়ে কাজ করছি। এলপিজি এই প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য জেএমআই গ্রুপকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেএমআই নব্বইয়ের দশক থেকেই ব্যবসা ও বিনিয়োগে উদ্ভাবনী চিন্তার পরিচয় দিচ্ছে। সেই সময় সবাই যখন গার্মেন্টস শিল্পের দিকে ঝুঁকছে তখন জেএমআই জাপানী বিনিয়োগ এনে হাসপাতাল যন্ত্রাংশ উৎপাদন শুরু করে। এখন সঠিক সময়ে তারা এলপিজি খাতে বিনিয়োগ করছে। জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০০০ সালে জাপানের ১০ বছরের প্রবাস জীবন ছেড়ে এসে মাত্র ৩১২ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছি। কয়েকটি ব্যাংকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সেই ব্যবসা আজ এত বড়। এখন জাপানের বিনিয়োগ আছে ৭০০ কোটি টাকা। যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের বিনিয়োগ আছে। ছয় হাজার কর্মী কাজ করছে জেএমআই গ্রুপে। অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হিসেবে আমরা অনেকগুলো বেসরকারী বিদ্যুতকেন্দ্রে অর্থায়ন করেছি। বোতলজাত গ্যাস এবং সিলিন্ডার তৈরিতে জেএমআই গ্রুপের নতুন এ উদ্যোগ অনেক আকর্ষণীয় মনে হওয়ায় অগ্রণী ব্যাংক এখানে অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এমটিবির চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লাহ, এমটিবির এমডি ও সিইও আনিস এ খান, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম, এনআরবি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মেহমুদ হোসেন, সাবিনকোর এমডি কাজী শাইরুল হাসান, উত্তরা ফিন্যান্স এমডি ও সিইও এসএম শামসুল আরেফিন প্রমুখ।
×