ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জড়িত মালিক-চালক

বাসের ব্যানারে পিকনিক ॥ সিটের নিচে ইয়াবা

প্রকাশিত: ১২:০২, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বাসের ব্যানারে পিকনিক ॥ সিটের নিচে ইয়াবা

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাসের গায়ে সাঁটানো ব্যানারে পর্যটন নগরী কক্সবাজার-বান্দরবান হলেও ফিরে আসার সময় বিলাসবহুল বাসে ইয়াবার চালান, ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। শনিবার র‌্যাবের পৃথক দুটি অভিযানে প্রায় ১২ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কে আছেন পর্যটকরা। কারণ বাসচালক বাসের কোন সিটের নিচে বা কার ব্যাগের সাইড পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে রাখছে তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে পর্যটকরা। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাগেজ ও যাত্রীর সিটকে টার্গেট করেই অভিযান পরিচালনা করে। ফলে বাস চালকদের অপতৎপরতার কারণে পর্যটক যাত্রীরা ফেঁসে যেতে পারেন বা হয়রানির শিকার হতে পারেন। শনিবার ভোরের এই চালানের পর সন্ধ্যায় আবারও একই এলাকায় পিকনিকের বাস থেকে আরও এক কোটি টাকার ইয়াবার চালান আটকে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পিকনিকের বাসের লাগেজ বক্সে ও সিটের নিচে করেই ইয়াবার চালান পাচার করছে বাসের চালক ও মালিকরা। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইয়াবা পাচারের নতুন কৌশলও ধরা পড়েছিল র‌্যাব সেভেনের অভিযানে। অভিযোগ রয়েছে, আনন্দ ভ্রমণে এসে শেষ পর্যন্ত ইয়াবা পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়া পর্যটন শিল্পকে কলুষিত করছে। ইয়াবাসহ ধরা পড়া পাচারকারীরা পরিবার ও ছেলে মেয়েদের সঙ্গে আনন্দ ভ্রমণের নামে প্রতারণা করেছে। পরিবার পরিজনকে টেকনাফ পর্যন্ত নিয়ে এসে এসব মাদক পাচারকারীরা বাস থেকে নেমেই কালেকশনে নামে ইয়াবার। এদিকে সেন্টমার্টিন পরিবার পরিজন ঘুরে এলেও পরিবারের কর্তার ইয়াবার ব্যবসা নিয়ে ধারণাই ছিল না। অবশেষে র‌্যাবের অভিযানের পর মুখোশ খুলে গেল পরিবারের কর্তা ব্যক্তির। বাসের মালিক চালক ও হেলপারসহ ৪০ জন বাসে থাকলেও ৩৪ জন বেঁচে গেল মাদকের অভিশাপ থেকে। এমন মন্তব্য ব্যক্ত করেছেন বাসে থাকা কয়েক যাত্রী। র‌্যাব সেভেন সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নুহা ক্লাসিক নামের বাসে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বাসের মাধ্যমে কক্সবাজার হতে যশোরে প্রমোদ ভ্রমণের আড়ালে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে রওনা হয়। শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় কক্সবাজার অতিক্রম করে। সকাল সাড়ে সাতটার সময় র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল বাকলিয়া থানাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রামমুখী শাহআমানত সেতুর ওপর নুহা ক্লাসিক বাসটিকে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৪৫৯৭) থামানো হয়। বাসটির লাগেজ বক্স তল্লাশি করে ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পথিমধ্যে বিক্রয় করা ১০ হাজার ইয়াবার টাকা ৬২ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
×