ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাপথাস আলসার

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

এ্যাপথাস আলসার

উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের মাঝে এ্যাপথাস আলসার দেখা যেতে পারে মানসিক চাপের কারণে। এছাড়া সুষম খাবারের অভাবে বা ঘুম ঠিকভাবে না হলেও এ্যাপথাস হতে পারে। এ্যাপথাস আলসার একটি ছোট ব্যথাযুক্ত মুখের আলসার বা ঘা যা আনুমানিক ২-৫ মি.মি. ডায়ামিটার আকৃতির হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ৫-৭ দিন থাকে এবং আলসার বা ঘা ২ সপ্তাহের মধ্যে শুকিয়ে যায়। যাদের বার বার এ্যাপথাস আলসার হয় তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন বি১২ কার্যকর ভ‚মিকা রাখে। কিন্তু আমাদের দেশে বুঝে না বুঝে রোগীরা ভিটামিন সেবন করে থাকেন যা মোটেই ঠিক নয়। কোল্ড সোর আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষের কাছে জ্বরঠোসা নামে পরিচিত। জ্বরঠোসায় সাধারণত ব্যথা হয়ে থাকে এবং জ্বালাপোড়া থাকে। চুলকাতেও পারে। সাধাণত ঠোঁটে বেশি দেখা যায়। কোল্ড সোর হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ-১ দ্বারা হয়ে থাকে। এ্যাপথাস আলসার বা ক্যানকার সোর কেবল মাত্র মুখের ভেতরে হয়। আর কোল্ড সোর বা জ্বরঠোসা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুখের বাইরে হয়। তবে মাঝে মাঝে মুখের ভেতরেও হয়। কিন্তু কেবলমাত্র শক্ত স্থানে যেমন মুখের অভ্যন্তরে তালুতে বেশি হয়ে থাকে। এ্যাপথাস আলসার ভাইরাস দ্বারা হয় না কিন্তু কোল্ড সোর বা জ্বরঠোসা ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে। তাই যারা কোল্ড সোরে আক্রান্ত তাদের খাবার গøাস, প্লেট ও কাপ আলাদা থাকা উচিত। এ্যাপথাস আলসার ওরাল টিস্যু ধ্বংসের মাধ্যমে হয়ে থাকে, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সোডিয়াম লরিল সালফেট দ্বারা হয়ে থাকে। কোল্ড সোরের ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণই হলো বিøস্টারের আবির্ভাব হওয়া। এ্যাপথাস আলসার একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায় না। কিন্তু কোল্ড সোর বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। তাই মুখের অভ্যন্তরে যে কোন স্থানে বা ঠোঁটে আলসার বা ঘা দেখা দিলে মুখস্ত ভিটামিন, মলম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার মুখের ঘা কি ধরনের অর্থাৎ রোগ নির্ণয় করার পরই যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭ ই-মেইল: [email protected]
×