ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কামিন্সের গলায় বোর্ডার মেডেল

প্রকাশিত: ১২:১২, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কামিন্সের গলায় বোর্ডার মেডেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বল টেম্পারিংয়ের অপরাধে দুই বড় তারকা স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞায় পুরো অস্ট্রেলিয়া কেঁপে উঠেছিল। কুলীন দেশটির ক্রিকেটে তৈরি হয়েছিল হাহাকার। পাঁচ বছর পর দলে ফেরা টিম পেইনকে করা হলো অধিনায়ক। কঠিন সময় পেরিয়ে সদ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট যে একেবারে ভেঙ্গে পড়েনি তার নেপথ্যে প্যাট কামিন্স ও নাথান লেয়ন। জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য লড়াইয়ে সাফল্যের স্বীকৃতি পেলেন দু’জন। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) বর্ষসেরা ‘এ্যালান বোর্ডার’ পদক জিতলেন পেসার কামিন্স, বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হলেন স্পিনার নাথান লেয়ন। আর টি২০’র বর্ষসেরা হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পরশু মেলবোর্নের ক্রাউন ক্যাসিনোতে অনুষ্ঠিত হয় জাঁকজমকপূর্ণ ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট এ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠান। স্মিথ-ওয়ার্নার নেই। দলের কঠিন সময়েও পারফর্মেন্সে কামিন্স ছিলেন দারুণ ধারাবাহিক। ক্রমেই হয়ে উঠছেন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের একজন। সেটির প্রতিফলন এই স্বীকৃতি। ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও সংবাদকর্মীদের ভোটে নির্ধারিত হয় সেরার স্বীকৃতি। ভোটের তুমুল লড়াইয়ে জিতেছেন কামিন্স। ১৫৬ ভোট পেয়ে সেরা হয়েছেন এই ফাস্ট বোলার। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি ১৪ ম্যাচে ২৫.৬১ গড়ে নিয়েছেন ৪৪টি উইকেট। ১৫০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়সেরা নাথান লেয়ন। এ্যারন ফিঞ্চ পেয়েছেন ১৪৬ ভোট। সমান ১০২ ভোট করে পেয়েছেন উসমান খাজা ও মার্কাস স্টয়নিস। এ্যান্ড্রু টাই পেয়েছেন ৮৫ ভোট। ২০১৪ সালে মিচেল জনসনের পর এই প্রথম বর্ষসেরা হলেন কোন ফাস্ট বোলার। স্টিভেন স্মিথের পর সবচেয়ে কম বয়সে এই পুরস্কার জিতলেন কামিন্স। ২০১৫ সালে ২৫ বছর ২৩৯ দিন বয়সে ‘এ্যালান বোর্ডার মেডেল’ জিতেছিলেন স্মিথ। কামিন্স জিতলেন ২৫ বছর ২৭৯ দিন বয়সে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘বেলিন্দা ক্লার্ক এ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন এ্যালিসা হিলি। পাশাপাশি আরও দুটি ক্যাটাগরিতে জিতে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এই কিপার-ব্যাটার জিতেছেন মেয়েদের বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টি২০ ক্রিকেটারের পুরস্কারও। ছেলেদের বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন লেয়ন। পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়ে (৯ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ৭ জানুয়ারি ২০১৯) ১০ টেস্ট খেলে এই অফস্পিনার নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ উইকেট। সেরা হয়েছেন তিনি ২৫ ভোট পেয়ে। কামিন্স এখানে পেয়েছেন ২২ ভোট। বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন স্টয়নিস। বিবেচ্য সময়ে অস্ট্রেলিয়ার ১৩ ওয়ানডের সবকটি খেলে এই অলরাউন্ডার করেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৭৬ রান, বল হাতে নিয়েছেন দলের সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট। ৩০ ভোট পেয়ে পেছনে ফেলেছেন তিনি ফিঞ্চকে (২২ ভোট)। ৩৩ ভোট পেয়ে বর্ষসেরা টি২০ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩০ ভোট পেয়ে তার পেছনে ছিলেন ডি অর্চি শর্ট। বিবেচ্য সময়ে ১৮ ইনিংসে ৩৬.১৪ গড় ও ১৪৩.৭৫ স্ট্রাইক রেটে ৫০৬ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল, উইকেট নিয়েছেন ৯টি। সেরা উঠতি ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘ব্র্যাডম্যান ইয়াং ক্রিকেটার’ নির্বাচিত হয়েছেন ২১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান উইল পুকোভস্কি। ঘরোয়া ক্রিকেটের বর্ষসেরা পরিচিত মুখ ম্যাথু ওয়েড।
×