ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সত্ব বিক্রির তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য : মোস্তাফা জব্বার

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সত্ব বিক্রির তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য : মোস্তাফা জব্বার

সংসদ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সত্ত্ব কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়নি, এটি দেশের জনগণের সম্পত্তি। স্যাটেলাইটের সত্ত্ব নিয়ে যেসব কোম্পানী বা ব্যক্তি বর্গের নামে লিজ দেয়ার তথ্য কিছু খবরের কাগজ বা গণমাধ্যমে এসেছে, তা মোটেও সত্য নয়। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এর আগে ফখরুল ইমাম মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন- ‘বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর বের হয়েছে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সত্ত্ব শুধু মাত্র বেক্সিমকো ও অন্য একটি কোম্পনীর কাছে বিক্রি করা আছে। কেউ যদি এ স্যাটেলাইটের সুবিধা নিতে চান তা হলে এ দুটি কোম্পানীর কাছ থেকে কিনতে হবে” এটি সত্যি কিনা? জবাবে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এটি জাতীয় সম্পত্তি, কারো কাছে লিজ বা সত্ত্ব বিক্রি করা হয়নি। এসব খবর মোটেও সত্য নয়। সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস বিধিমালা, ২০১৩ তে কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানীগুলোকে অর্থ আদান-প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। অর্থ আদান-প্রদান বা হস্তান্তর বিষয়ে অনুমতি প্রদানের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের এখতিয়ার। ইসরাফিল আলমের অপর এক প্রশ্নের মোস্তাফা জব্বার জানান, ২০১০ সালের ১১ নবেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দেশে ৫ হাজার ২৯৫টি ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এ সকল সেন্টারে প্রায় ১০ হাজারের বেশী উদ্যোক্তা কাজ করছে। ২০২১ সালের মধ্যে গ্রামে-গঞ্জে ২০ হাজার ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানান, এসকল ডিজিটাল সেন্টারে সকলের জন্য একটি ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে একউন্ট খোলা, ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান ও আমানত গ্রহণ, বিদ্যুত বিল গ্রহণ, পাশপোর্ট বিল গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় নানাবিধ সেবা দেয়া হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সাল হতে দেশের ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মাধ্যমে ই-তথ্য সেবা সরবরাহ প্রকল্পে মোট ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩৫ মিলিয়ন ডলার এডিপি এবং ১২ মিলিয়ন ডলার এটুআই কর্তৃক ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট ও প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সকল স্কুলে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপণ করা হবে। এসকল ল্যাবে শুধু শিক্ষার্থীদের মধ্যে নয়, স্কুল ছুটির পরে অন্যদেরও এ ল্যাবে শেখার সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ নিজে মোবাইল ও ল্যাবটপ বানাচ্ছে ও রপ্তানী করছে। ইতোমধ্যে উন্নতমানের মোবাইল ফোন উৎপাদনের জন্য ৬টি কারখানা চালু হয়েছে। আরো ৬টি অবিলস্বে চালু করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন আর মোবাইল বিদেশ থেকে আমদানী করতে হবেনা। আমরা এদেশে কম্পিউটারের মাদার বোর্ড উৎপাদনের চেষ্টা করছি। তেমনি আমরা ল্যাবটপ তৈরির করার জন্য আমরা কারখানা চালু করছি। সেখানে মাদার বোর্ড তৈরি হবে।
×