ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চিকিৎসকদের হাসপাতালে অনুপস্থিতি দুদক করাপশন হিসেবে উল্লেখ করেছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

চিকিৎসকদের হাসপাতালে অনুপস্থিতি দুদক করাপশন হিসেবে উল্লেখ করেছে :  স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিকেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করাপশন (দুর্নীতি) হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে দুদক কিছু উপদেশ দিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কোনগুলো মানা যায় তা মন্ত্রণালয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আর যে নিম্নস্তরের ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিতে বলেছে, সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য সদস্য ফখরুল ইসলামের এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন। এ বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্য একটি বিশাল মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় থেকে ১৬ কোটি জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। মাতৃমৃত্যু হার কমেছে, শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এ মন্ত্রণালয়ের এসব ভাল কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীও অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। তবে কাজ করতে গেলে কিছুটা ত্রুটি-বিচ্যুতি হতেই পারে। সম্প্রতি দুদক বিভিন্ন হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি দেখেছে। এই অনুপস্থিতিকে তারা করাপশন উল্লেখ করে পদক্ষেপ নিতে বলেছে। তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই নেয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারলে আর কোন অভিযোগ থাকবে না। সরকারি দলের শাহে আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে চিকিৎসক সঙ্কটই হচ্ছে বড় সঙ্কট। চাহিদার তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুযায়ী প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ১২ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আমাদের রয়েছে মাত্র ৪ জন। নতুন আরও ১০ হাজার চিকিৎসক নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ নিয়োগ হলেই সঙ্কট কিছুটা দূর হবে। আর চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিকেই দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে। চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণ করা হবে ॥ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, রোগীদের কাছ থেকে চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণের একটি পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। চিকিৎসকগণের রোগীদের কাছ থেকে ফি নির্ধারণের বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠণপূর্বক একটি নীমিতালা প্রণয়নের চিন্তা-ভাবনা সরকারের রয়েছে। সরকারী দলের আরেক সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ডাক্তারদের অভাবে দেশে বিদ্যমান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিকগুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় নেই। কারণ দেশের অধিকাংশ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো), একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন অফিস সহায়খ কর্মরত আছেন। তবে কেন্দ্রগুলোতে এমবিবিএস ডাক্তারের শূন্য থাকায় গরিব জনসাধারণ উন্নত চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্তি কিছুটা বঞ্চিত হচ্ছে।
×