ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভালবাসার রঙে

প্রকাশিত: ১২:৩০, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ভালবাসার রঙে

প্রতি মানুষের মাঝেই রয়েছে পরিপূর্ণ ভালোবাসা। যা ক্ষেত্র বিশেষে কম কিংবা বেশি। তবে মনের মাঝে ভালোবাসা নেই এমন মানুষ ধরণীতে খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্ট সাধ্য। ভালবাসা যেমন কড়া নাড়ে সকলের হৃদয়ে, তেমনি ছোঁয়াও লাগে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিনিয়ত গুরুত্ব বেড়েই চলছে ভালবাসা দিবসের। ফলে এ উৎসবকে বরণ করে নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায় সকল স্থানেই। অবশ্য অন্যান্য জিনিসের তুলনায় এ দিবসটিতে সকলে ভিন্ন ফ্যাশনে আবির্ভাব হয়ে থাকে। পোশাক থেকে শুরু করে জুতা এবং কসমেটিকসসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই রুচিশীলতার পরিচয় বহন করে। ক্রেতাদের চাহিদাও রুচির প্রতি লক্ষ্য রেখে ফ্যাশন হাউসগুলোয় ভালবাসা দিবস উপলক্ষে নিয়ে আসে বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের বাহারি পোশাক। কসমেটিকস্, জুতা ও পারলারগুলোয় বেশ কর্মতৎপর হয়ে ওঠে এ সময়ে। অধিকাংশ ফ্যাশন হাউস ও বুটিকস্ শপ-এ ভালবাসা দিবস উপলক্ষে লাল ও সাদা রঙের ফেব্রিক্স দিয়ে অধিকাংশ পোশাক তৈরি করে থাকে। এছাড়া লাল, সাদা ও অন্যান্য মিষ্টি রঙের মিশ্রণে অসংখ্য বস্ত্র শোভা পাচ্ছে শোরুমে। এ দিবস উপলক্ষে অধিকাংশ দোকানেই মেয়েদের শাড়ি, থ্রি-পিস, টু-পিস, টপস্, ওড়না, সালোয়ার ও লেডিস টি-শার্ট মেলে। পাশাপাশি ছেলেদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্টসহ অসংখ্য পোশাক। সকল শ্রেণীর ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই রাখা হয়েছে প্রতিটি ভালবাসা দিবসের পোশাকের মূল্য। পোশাকের সঙ্গে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে শাড়ি পরিধানের সঙ্গে হাতে জড়িয়ে নিতে যে লাল-সাদা রঙের বেশ কিছু চুড়ি, শাড়ির পাড়ের সঙ্গে ম্যাচিং করে কাঁচের চুড়ি পরাই উত্তম। গলা ও কানে এ্যান্টিক; পাট, সুতা এমনকি মাটির গহনাও পরা যায়। এগুলো কাছেই জুয়েলারি দোকান হতে সহজেই সংগ্রহ করা যাবে পছন্দ অনুসারে। ভালবাসা দিবস উপলক্ষে চুল না কেটেই চুলের স্টাইলে ভিন্নতা আনা যায়। এ জন্য হেয়ার কালার করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। ছোট চুলের স্টাইলের সঙ্গে বড় ও কারুকাজ করা কানের দুল পরা যায়। তবে বেনি বা চুল খোঁপা করে ফুল জড়িয়ে নিলে বেশ আকর্ষণীয় করে তুলবে। সকলের চাহিদা পূরণ করার বাসনা নিয়েই এবারের ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস (ভ্যালেন্টাইনস ডে)’ উপলক্ষে অসংখ্য পোশাকের দোকান বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক শোরুমগুলোয় স্থান দিয়েছে। অঞ্জনস, কে-ক্রাফট, অন্য মেলা নিত্য উপহার, দেশাল, সুই-সুতা, ইজি ফ্যাশনসহ অসংখ্য ফ্যাশন হাউসেই শোভা পাচ্ছে ভালবাসা দিবসের পোশাক। বুটিকস্ ও ফ্যাশন হাউসগুলোর পাশাপাশি গহনা এমন কি বিউটি পারলারসমূহ এ দিবসকে প্রাধান্য দিয়ে বিশেষ আয়োজন করে থাকে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে গ্রাহক উপস্থিত হয়ে থাকে। ভালবাসা দিবসে নিজেকে অন্যরূপে উপস্থাপন করার অভিপ্রায়ে এখনই শুরু হোক মানানসই ফ্যাশনের জন্য পোশাক থেকে শুরু করে অন্যান্য দ্রব্য সংগ্রহের কার্যক্রম। সঠিক ও মনমতো ফ্যাশনে দিনটিতে প্রাণবন্ত ও উচ্ছল মনে কাটিয়ে দেয়া যাবে বেশ সহজেই। তারা ভালবাসার বহির্প্রকাশ হবে অন্য দিনগুলো হতে অনেক বেশি। ছবি : রানা আহমেদ মডেল : শ্রাবণ, প্রীতি, সুজিত ও অর্নিকা পোশাক : রেইনবো জোন মেকআপ : নিমো বিউটি স্যালুন
×