ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিচিত্র তথ্য

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বিচিত্র তথ্য

সুন্দরী ট্রাকচালকে মজেছেন সবাই সড়ক পরিবহনগুলোর মধ্যে ট্রাক চালানো সবচেয়ে কঠিন মনে করা হয়। সাধারণত পুরুষদের এই দায়িত্বে দেখা যায়। তবে জাপানের এক নারী সব ঝুঁকি উপেক্ষা করে, সবাইকে টেক্কা দিয়ে হাতে তুলে নিয়েছেন ট্রাকের চাবি। পাড়ি দিচ্ছেন মাইলের পর মাইল। বলছি জাপানী নারী রিনো সাসাকির কথা। ২৮ বছর বয়সী এই নারী পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ট্রাক চালকের পেশা, যেটা জাপান নয়, এশিয়া মহাদেশেই বিরল। ইতোমধ্যে তিনি কোন রকম দুর্ঘটনা ছাড়াই পাড়ি দিয়েছেন দুই লাখ কিলোমিটার রাস্তা। পেয়েছেন জাপানের প্রথম নারী ট্রাক চালকের খেতাব। সেই সঙ্গে আরও একটি খেতাব পেয়েছেন রিনো। তিনি বিবেচিত হচ্ছেন, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী ট্রাকচালক হিসেবে। নারী হয়ে ট্রাক চালানোর মতো একটি সাহসী পেশা বেছে নেয়ার জন্য প্রচুর প্রশংসাও তিনি পাচ্ছেন। তবে এত প্রশংসা ও খেতাব যে পেশার জন্য, সেই পেশায় আসার ইচ্ছা ছিল না রিনো সাসাকির। তার বাবা পেশাদার ট্রাকচালক হলেও সাসাকি ছিলেন নাচের শিক্ষক। কিন্তু হঠাৎ করেই বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে বাধ্য হয়ে এই পেশা তিনি বেছে নেন। প্রথমদিকে খারাপ লাগলেও ধীরে ধীরে পেশার প্রতি ভাললাগা তৈরি হয়। এরপর সব ছেড়ে ট্রাক চালানোকেই পেশা হিসেবে নেন তিনি। গত সাত বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে জাপানের প্রায় সব জায়গাতেই তিনি গিয়েছেন। সাসাকি তার দৈনন্দিন কাজের ছবি মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। কারণ তিনি চান তার মতো আরও জাপানী নারী এ পেশায় আসুক। মাইকেল জ্যাকসন ভক্তের কাণ্ড লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার বাসিন্দা লিও ব্যাঙ্কো। পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের ভক্ত তিনি। শুধু ভক্ত তা নয়, প্রথম দেখায় যে কেউ তাকে মাইকেল জ্যাকসন ভেবে ভুল করবেন। কারণ তার পোশাক, আচরণ থেকে শুরু“করে দৈহিক অবয়ব অবিকল মাইকেল জ্যাকসনের মতো। তবে জন্ম থেকেই লিও কিন্তু জ্যাকসনের মতো দেখতে ছিলেন না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তিনি নিজের চেহারা পাল্টে নিয়েছেন তার শৈশবের হিরো জ্যাকসনের চেহারায়। বারক্রোফট টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জ্যাকসনের এই পাগলাটে ভক্ত শুনিয়েছেন সেই কাহিনী। ব্যাঙ্কোর কথায়- খুব ছোটবেলা থেকেই মাইকেল জ্যাকসনের ভক্ত তিনি। জ্যাকসনের গান শোনা ছিল তার নিত্যদিনের কাজ। জ্যাকসনের অকাল প্রয়াণে ভীষণ কষ্ট পান বালক লিও। পপ সম্রাটের প্রতি ভালবাসার বহির্প্রকাশ করতে তিনি পণ করেন, নিজের চেহারা যে কোন মূল্যে মাইকেল জ্যাকসনের মতো রূপ দেবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। পনেরো বছর বয়সে নিজেকে সপে দেন অস্ত্রোপচারের ছুরি-কাচির নিচে। এরপর গত ছয় বছরে লিও আরও চারবার কসমেটিক সার্জারি করিয়েছেন। নাক, চোয়াল, গলা থেকে শুরু করে বুক অবদি বদলে ফেলেছেন। খরচ করেছেন প্রায় পঁয়ত্রিশ লাখ টাকার কাছাকাছি। এভাবে একটু একটু করে হয়ে উঠেছেন প্রয়াত পপ সম্রাটের প্রতিচ্ছবি। তবে নিজেকে আমূল বদলে ফেলেও খুশি নন লিও। তিনি মনে করেন, প্রিয় তারকার মতো হতে তাকে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। শাহিদুল ইসলাম
×