অনলাইন ডেস্ক ॥ চলতি সপ্তাহেই পাকিস্তানে যাচ্ছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান। তারপর সেখান থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি দু’দিনের সফরে ভারতে যাবার কথা রয়েছে তার। দু'দেশে সফরকালে একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বার্তা দেবেন বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে নিজের দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রিন্স সালমান ভারতে সফর করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত বছরের নভেম্বরে মোদির সঙ্গে জি-২০ সম্মেলনে আর্জেন্টিনায় দেখা হয়েছিল সালমানের। সৌদি সবচেয়ে বেশি অশোধিত তেল সরবরাহ করে ভারতেই। তবে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক তেলের ওপরই সীমাবদ্ধ নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি কয়েক বছরে জ্বালানি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগসহ পারষ্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিসর বেড়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই সফরে সৌদি যুবরাজ প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগের ঘোষণা করতে পারেন।
এর ফলে বন্দর এবং মহাসড়ক নির্মাণের কাজে গতি আসবে। সৌদি আরব ভারতের ফার্ম সেক্টরেও বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারতও সৌদি আরবে পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
মুসলিম দেশ হওয়ার কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। গত বছরের অক্টেবরের শেষের দিকে সৌদি আরব পাকিস্তানের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ৬শ’ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল। এবারের পাকিস্তান সফরেও সালমান পাকিস্তানে প্রচুর বিনিয়োগ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার কোটি ডলারের তেল শোধনাগার এবং পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স রয়েছে। যেটি নির্মিত হবে গোয়াদর বন্দরে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: