ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীকে সভাপতি করে ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটি

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীকে সভাপতি করে ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সভাপতি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে ১০২ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করে গঠন করা হয়েছে ৬১ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি। জাতীয় কমিটি আগামী বছর ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযথভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি, পরিকল্পনা, কর্মসূচী অনুমোদন ও বাস্তবায়ন কমিটিকে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবে। ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, কবি নির্মলেন্দু গুণ, লেখক কামাল লোহানী, শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, সাবেক-বর্তমান মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য, সিনিয়র সাংবাদিক, শিক্ষাবিদসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ রয়েছেন। এছাড়া বাস্তবায়ন কমিটিতে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দোস্তগীর গাজী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, মোজাম্মেল হক বাবু, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্য, সিনিয়র সচিব, সিনিয়র সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন। জাতীয় উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এছাড়া বাস্তবায়ন কমিটিতেও প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এই দুটি কমিটি গঠন করে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ২০২০ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে উদ্যাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। জাতীয় কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচী অনুমোদন করবে এই কমিটি। এছাড়া জাতীয় কমিটি প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবে বাস্তবায়ন কমিটিকে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক কাজসহ বাস্তবায়নে কমিটির কার্যক্রম তত্ত্বাবধায়ন, সমন্বয় সাধন, পরিবীক্ষণ ও অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন ও আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করবে। অপরদিকে বাস্তবায়ন কমিটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন সংক্রান্ত সার্বিক পরিকল্পনা, কর্মসূচী ও বাজেট প্রণয়নে এবং জাতীয় কমিটির অনুমোদন নিয়ে তা বাস্তবায়ন করবে। জরুরী ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বা জাতীয় কমিটির সভাপতির সরাসরি অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা এবং পরবর্তীতে জাতীয় কমিটির ভূতাপেক্ষ অনুমোদন গ্রহণ করতে পারবে। বাস্তবায়ন কমিটি প্রয়োজনে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন ও সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কর্মসূচী বাস্তবায়নের কাজে কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
×