ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘জামায়াত-বিএনপিকে জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে’

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

‘জামায়াত-বিএনপিকে জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে’

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে শুধু জামায়াতকে নয়, বিএনপিকেও জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ তারাই যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করেছে, মন্ত্রী বানিয়ে লাখো শহীদের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল। আগুণ সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা ও সীমাহীন দুর্নীতির জন্যও বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর ক্ষমা না চাওয়ার কারণেই দেশবাসী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে রবিবার রাতে রাষ্ট্রপতি ভাষণ সম্পর্কে আণীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন তাঁরা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সরকারি দলের মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রমূখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলো, তারাই জঙ্গী সৃষ্টি এবং অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করেছিলো। জনগণ সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে উন্নয়নের মহাসড়কে তা রাষ্ট্রপতির ভাষণে ফুটে উঠেছে। গত ১০ বছরে দেশের নৌ পরিবহন খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশের নদ-নদীগুলো মৃতপ্রায় অবস্থায় গিয়েছিলো। এখন তাদেরকে জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকার চারপাশের চারটি নদী ও কর্ণফুলি নদীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে অভিযান চলছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু আপোষহীন। ফলে কোন শক্তিই অবৈধ দখলদারদের রক্ষা করতে পারবে না। নৌ পরিবহন ব্যবস্থাকে সচল করতে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে দেশের মানুষ অভূতপূর্ব গণরায় দিয়েছেন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্ম জানিয়ে দিয়েছে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই থাকতে চায়, উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের পক্ষেই থাকতে চায়। এ কারণে তারা স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের জোটকে ব্যালটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে শুধু জামায়াতকে নয়, বিএনপিকেও জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে। কারণ তারাই যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করেছে, মন্ত্রী বানিয়েছে। তাই তাদেরকেও ক্ষমা চাইতে হবে, আগুণ সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা ও সীমাহীন দুর্নীতির জন্য। ক্ষমা না চাওয়ার কারণেই দেশবাসী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে সুবিদ আলী ভূইয়া বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন নিজেই নিজের তুলনা। তার সুদুর প্রসারী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আর এই উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে দেশবাসী আবারো নৌকায় ভোট দিয়েছে। তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলাকে পূর্ণাঙ্গ জেলায় উন্নীত করাসহ কুমিল্লাবাসীর দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ছিল দেশ রক্ষার নির্বাচন। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলার মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে রায় দিয়েছেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই, বঙ্গবন্ধুর রক্তের কোন বিকল্প নেই।
×