ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে তিন নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নারায়ণগঞ্জে তিন নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাটের একদিন পর রবিবার নারায়ণগঞ্জে তিন নারীকে গাছে বেঁধে, চুল কেটে এবং জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বন্দর উপজেলার দক্ষিণ কলাবাগ খালপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা তিন নারী হলেন— মফিজ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা বেগম ওরফে ফতেহ (৫০), বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার বাছেদ আলীর মেয়ে আসমা বেগম (৩৫) ও বুরুন্দি এলাকার বকুল মিয়ার স্ত্রী বানু বেগম (৩০)। এর আগে শনিবার প্রভাবশালী তিন ব্যক্তির নেতৃত্বে এদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্যাতিতা নারীরা যৌনকর্মী যদি হয়েও থাকে তাহলে তাদেরকে ওই ভাবে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অধিকার কারোর নেই। প্রভাবশালী মহল পরিকল্পিত ভাবে এঘটনা ঘটিয়ে ওই নারীদের বাড়িঘর লুটপাটও করেছে। কিন্তু পুলিশ এখনও কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। অবশ্য পুলিশের ভাষ্য, যারা এ ধরনের কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরেজমিনে কলাবাগ খালপাড়ে নির্যাতনের শিকার ফাতেমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার বাড়ি ঘর এবং ঘরের প্রতিটি আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। সোহাগ বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা পূর্ব পরিকল্পিত। আমাদের ঘরে থাকা সাড়ে ৬ লাখ টাকা ও সকল জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। আমার বাড়ি তছনছ করে ফেলেছে। সোহাগ জানান, যদি তার মা কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকতেন তাহলে তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য আইন। কিন্তু তারা শনিবার যা করেছে তা অত্যন্ত অন্যায়। এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পতিতাবৃত্তির মতো কোন বিষয় থাকলে থানায় অবহিত করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতাম। এভাবে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। এর জন্য পুলিশ আছে, প্রশাসন আছে। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় আহতের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×