ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে দেখা যাচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে হয়েছে প্রচুর লেনদেন

মান্নানের নিউ বসুন্ধরা কি আরেকটি হায় হায় কোম্পানি!

প্রকাশিত: ১০:২৭, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 মান্নানের নিউ বসুন্ধরা কি আরেকটি হায় হায় কোম্পানি!

রহিম শেখ ॥ রিয়েল এস্টেট বা আবাসন কোম্পানি খুলে আমানত সংগ্রহ। প্রথম বছরে ৩০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ৩৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৪০ শতাংশ এবং চতুর্থ বছরে দ্বিগুণ মুনফা। প্রায় ২ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে মুনাফার চমক দেখিয়ে ২৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট নামের একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির মালিক এমএ মান্নান তালুকদার। বাগেরহাট ডিসি কার্যালয় থেকে ২০১০ সালে এমএলএসএস পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যান তিনি। গ্রাহকের এ অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদ সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের একাধিক ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত রাখা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনসহ (পিবিআই) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নেমেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করতে আবেদনকারীকে ১০০ টাকা পরিশোধ করে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। সর্বনিম্ন বিনিয়োগ ৫ হাজার টাকা করতে হবে। মেয়াদ এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বিনিয়োগ উত্তোলন করা যাবে না। তবে মেয়াদ পূর্তির আগে বিনিয়োগ উত্তোলন করলে ঘোষিত লভ্যাংশ কমবে। যেমনÑ ১ বছর বিনিয়োগের পর উত্তোলন করলে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ পাবেন গ্রাহক; দুই বছর পর বিনিয়োগ উত্তোলন করলে ৩৫ শতাংশ, তিন বছর পর উত্তোলন করলে ৪০ শতাংশ এবং চার বছর মেয়াদে রাখলে বিনিয়োগ অর্থ দ্বিগুণ হবে। ফলে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অনেকেই নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে বলা হয়, ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১৯ হাজার ৯৬৭ জন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে প্রায় ২৪৫ কোটি টাকার আমানত গ্রহণ করে। এ আমানত থেকে ১৪৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার জমি ক্রয় করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মান্নান। অবশিষ্ট ৬৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তার মালিকানাধীন সাবিল গ্রুপের ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বলা হয়, কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে চার্জ সৃষ্টির বিধান থাকলেও আলোচ্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ক্রয়কৃত ১৪৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পত্তিতে এখনও তা করা হয়নি। এর অর্থ গ্রাহকের আমানতের অর্থ দিয়ে আবদুল মান্নান নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদ সৃষ্টি করছেন; যা গুরুতর অনিয়ম এবং গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিও প্রবল। তার এ আচরণে প্রতিষ্ঠানটি অচিরেই যুবক, ইউনিপে-টু ও ডেসটিনির মতো অবস্থায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া সাবিল গ্রুপের সহযোগী ছয়টি প্রতিষ্ঠানে ৬৬ কোটি টাকা বিনিয়োগও বিধিবহির্ভূত। তাই সংগৃহীত আমানতের মাধ্যমে ক্রয়কৃত সম্পত্তির মালিকানা এবং সাবিল গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের বিষয়াবলী বিস্তারিত তদন্ত করা হলে আরও অনেক তথ্য উদ্ঘাটিত হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা অফিস কর্তৃক পরিচালিত তদন্তে অংশ নেয়া পরিদর্শক দল। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ (২০০৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ৩১(১) ধারা মোতাবেক কোন কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতীত জনগণের কাছ হতে আমানত সংগ্রহ করতে পারে না। কিন্তু নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট নামক প্রতিষ্ঠানটি ৩১(১) ধারার নির্দেশনা লঙ্ঘন করে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ করছে। এছাড়া কোম্পানির মেমোরেন্ডাম এ্যান্ড আর্টিকেল অব এ্যাসোসিয়েশনের শর্তানুযায়ী, শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে পুঁজিবাজার হতে মূলধন সংগ্রহ করার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি তা না করে জনসাধারণের কাছ থেকেই আমানত সংগ্রহ করছে, যা ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ধারা ৩১(১) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আর্থিক খাতে ডেসটিনি, ইউনিপে-টু ও যুবকের মতো বিপর্যয়ের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং দেশের আরও বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের আমানত ঝুঁকিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া আবদুল মান্নানের মালিকানাধীন নিউ বসুন্ধরা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি নামের আরেক প্রতিষ্ঠানেও পরিদর্শন চালিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা অফিস। এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ দুইটিসহ এম এ মান্নানের মালিকানাধীন অন্য প্রতিষ্ঠানও বিশদ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট যে কার্যক্রম করছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনী। এ বিষয়ে আমাদের খুলনা অফিস তদন্ত করেছে। এরপরই আমরা ওই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ কার্যক্রমের বিষয়ে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়-খুলনা একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট এবং নিউ বসুন্ধরা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। দুদকের এ তদন্তে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালিত আলোচ্য তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান দুটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিস এ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি) ও সমবায় অধিদফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অবগত করেও চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা যায়, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানটি রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিস এ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) ঢাকা কার্যালয় হতে ২০১০ সালে নিবন্ধিত হয়। এর ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান ও তার পরিবার। বাকি ৫ শতাংশ শেয়ার প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানের। প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্টার্ড অফিস বাগেরহাটে হলেও খুলনা, নড়াইল, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকের কাছ থেকে মাঠকর্মীর মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা প্রতিষ্ঠানটি শুধু উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে-ই নয়, মানুষকে আকৃষ্ট করতে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংকিংয়ের মতো লভ্যাংশ দেয়ার প্রস্তাব করছে। নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা শাখার নির্বাহী পরিচালক মোঃ ইস্কান্দার মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি বৈধ কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়। কিন্তু উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ করেছে। তাদের এ কার্যক্রম তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। এটা জনগণ থেকে টাকা আত্মসাতের শামিল। তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির মালিক বেশিরভাগই লেনদেন করেছেন ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে। ফলে তিনি আসলে জনগণ থেকে কত টাকা সংগ্রহ করেছেন, সেটা বলা মুশকিল। এ বিষয়ে আবদুল মান্নানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট অফিস রাজধানীর দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় বিসিআইসি ভবনের ১৬ তলায় রবিবার গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ। কবে থেকে বন্ধ, কেন বন্ধ বলতে পারেনি ভবনে থাকা কোন নিরাপত্তাকর্মী। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা অফিসের একটি সূত্র জানায়, তার প্রতিষ্ঠানে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পরই তিনি পরিবারসহ বিদেশে পালিয়ে গেছেন। প্রতিষ্ঠানটি বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো মতামতে পরিদর্শক দলটি বলেছে, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের একটি মাত্র শাখাতে তারা তদন্ত কাজ পরিচালনা করেছে। পরিদর্শনকালীন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মান্নান ঢাকায় অবস্থান করছিলেন এবং প্রতিষ্ঠানটির দাফতরিক কাগজপত্রসহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তার কাছে সংরক্ষিত ছিল। এতে পরিদর্শক দল তাদের চাহিদামতো কাক্সিক্ষত তথ্যাদি পায়নি। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা না থাকায় আমানতকারীদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং অন্য সরকারী সংস্থার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে তদন্ত হওয়া আবশ্যক মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেছে। আবদুল মান্নানের মালিকানাধীন নিউ বসুন্ধরা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি নামের আরেক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনেও বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ প্রতিষ্ঠানটি জেলা সমবায় সমিতি, বাগেরহাট হতে ২০১২ সালে নিবন্ধিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ৩১৩ জন। এ বিষয়ে পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচ্য সমবায় সমিতি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের কাছে থেকে ৩ বছর মেয়াদে ৩৫টি দোকানঘর লিজ নেয়ার জন্য গেল বছরের ২৩ অক্টোবর পরস্পর চুক্তিবদ্ধ হয়; যা কার্যকর হয়েছে ২০১৭ সালের ১ জুলাই হতে। চুক্তি সম্পাদনের ১ বছর ৪ মাস পূর্ব থেকে চুক্তি কার্যকর বেআইনী বলে মনে করে পরিদর্শক দল। তাছাড়া জেলা সমবায় অফিস, বাগেরহাট কর্তৃক সম্পাদিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দোকানঘর লিজ গ্রহণ বাবদ ৮১ লাখ ২৯ হাজার টাকা প্রদর্শন করা হয়েছে। জেলা সমবায় অফিসের নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং চুক্তিপত্রে উল্লিখিত মূল্যমানের মধ্যে পার্থক্য থাকায় বিষয়টি বিভাগীয় অফিস কর্তৃক পুনরায় তদন্ত করা আবশ্যক মর্মে অভিমত দিয়েছে পরিদর্শক দল। জানা যায়, খুলনা অঞ্চলজুড়ে উমেদার এম এ মান্নানের প্রতারণার ফাঁদ থেকে দেশের নিরীহ জনগণকে রক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে গত বছরের ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শিপন মিনা নামের এক ব্যক্তি। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, আবদুল মান্নানের মালিকানাধীন নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট নামের কোম্পানিটি উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে। আর নিউ বসুন্ধরা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি একই পন্থায় আড়াই কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে। ডেসটিনি, যুবক, ইউনিপে-টু ও হুন্ডি কাজলের ন্যায় মান্নানের প্রতারণার ফাঁদে বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, নড়াইল ও সাতক্ষীরার প্রায় ৪০ হাজার লোক সর্বস্ব হারাতে বসেছে- মর্মে তিনি পত্রে উল্লেখ করেন।
×