ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডাকসু নির্বাচন তিন মাস পেছানোসহ ৭ দফা দাবিতে এখনও অনড় ছাত্রদল

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 ডাকসু নির্বাচন তিন মাস পেছানোসহ ৭ দফা দাবিতে এখনও অনড় ছাত্রদল

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডাকসু তফসিল পুনরায় ঘোষণা, নির্বাচন তিন মাস পিছিয়ে নেয়াসহ সাত দফা দাবিতে এখনও অনড় ছাত্রদল। তবে একইসঙ্গে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের নীতি গ্রহণ করছে বামসংগঠনগুলো। অন্যদিকে প্রশাসনের সব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্রলীগ। ডাকসুকে কেন্দ্র করে তৃতীয় দিনের মতো রবিবার বেলা ১২টায় মধুর ক্যান্টিনে আসে ছাত্রদল। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ঢাবি শাখার সভাপতি মেহেদি আল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দীকির নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন ছাত্রদল কর্মী মধুতে আসে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাত দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপির পুনর্ব্যক্ত করে আকরামুল হাসান বলেন, আমাদের মূল দাবি নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র আবাসিক হলের পরিবর্তে একাডেমিক ভবনে করা। এছাড়া ক্যাম্পাসের অর্থবহ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্র্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের একক প্যানেল ॥ ডাকসু নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ জোট করে নির্বাচনে অংশ নিবে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্র্রাজ্যবিরোধী ছাত্র ঐক্যের অন্তর্ভুক্ত বাম সংগঠনগুলো। তারা ১১ দফা ঘোষণা নিয়ে রবিবার বেলা ১২টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে একসঙ্গে কাজ করার কথা জানায়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ইকবাল কবির। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ক্যাম্পাস জুড়ে দখলদারিত্বের যে অচলায়তন তৈরি হয়েছে তা ভাঙ্গার সোপান হতে পারে ডাকসু নির্বাচন। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাচ্ছে ছাত্রদল : ছাত্রলীগ সভাপতি ॥ এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, নিজেদের অযোগ্যতা ঢাকতেই প্রশাসন ও ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপাচ্ছে ছাত্রদল। ভোটকেন্দ্র কোথায় হবে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিষয়। ছাত্রদল এ কথাগুলো বলছে কারণ তারা নিশ্চিত তারা প্যানেল দিয়ে বিজয়ী হতে পারবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই।
×