ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি সংবিধান লংঘন কিনা খতিয়ে দেখার দাবী

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি  সংবিধান লংঘন কিনা খতিয়ে দেখার দাবী

সংসদ রিপোর্টার ॥ সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক সমঝোতা চুক্তির সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল শরিক বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল। সোমবার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করছি কিনা এটা খতিয়ে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ না কেউ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ফ্লোর নিয়ে তিনি আরও বলেন, আমার চোখে পড়ছে আমরা সংবিধান ভঙ্গ করছি কি না। সেটা যদি হয় তবে ভবিষ্যতে কেউ না কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন করবে। আমরা ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটা সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছি। আবার সৌদি আরবের সঙ্গে এ ধরণের চুক্তিতে যাওয়া কি ঠিক হচ্ছে? এটা তো হুতি ও সৌদি আরবের সমস্যা, ইরান ও সৌদি আরবের সমস্যা। সেখানে আমরা কেন যাবো? আমাদের সেনা সদস্যরা কেন মাইন অপসারন করতে গিয়ে জীবন দেবে? এ ধরণের সংঘর্ষে যুক্ত হওয়া মহাবিপদ। সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করে বাদল বলেন, জাতিসংঘের ম্যান্ডেট ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো সামরিক কনটেন্টে আমরা যুক্ত হব না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মুসলিম উম্মাহর কথা বিবেচনা করে পবিত্র মক্কা-মদীনার নিরাপত্তায় এই চুক্তি। সৌদি আরব বছরে আমাদেরকে ৫০০ কোটি টাকা দেবে। শুধুমাত্র এই কয়টা টাকার লোভে আমাদের এই ধরনের কনটেন্টে যুক্ত হওয়া কতটা যৌক্তিক? বাংলাদেশের নিজস্ব স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রাখা উচিত। সংবিধান অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বিষয়াদি ও পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানিয়ে স্পীকারকে উদ্দেশ্যে করে জাসদের এ নেতা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আপনি ৬৮ ধারায় একটা সময় দিন। এ সব বিষয় নিয়ে সংসদে কথা বলা উচিত। আমরা সংবিধান লংঘন করছি কি না, সেটা আপনিও ভাববেন। এর জন্য আমি একটি নোটিশ দেবো। মইন উদ্দীন খান বাদলের বক্তব্যের পর স্পীকার তাঁকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, নোটিশ দিতে চাচ্ছেন, আপনি নোটিশ দেন পরে দেখবো। পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিলে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা বাদলকে উদ্দেশ্য করে স্পীকার বলেন, ‘মাননীয় সদস্য আপনি কি বসে বলবেন?’ জবাবে বাদল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো আমাদেরকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বলেছেন। সেজন্য নিজ পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’ পরে দাঁড়িয়েই বক্তব্য রাখেন বাদল। একটি বিল উত্থাপন ॥ চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস (ল্যান্ড এ্যাকুইজিশন) রেগুলেশন, ১৯৫৮- এর অধিকতর সংশোধনকল্পে ‘চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস (ল্যান্ড এ্যাকুইজিশন) রেগুলেশন (সংশোধন) অ্যাক্ট, ২০১৯’ সোমবার সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরীক্ষা করে ৬ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
×