ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়নগঞ্জের কিশোরী ধর্ষক সাহাদাতকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নারায়নগঞ্জের কিশোরী ধর্ষক সাহাদাতকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এক হোটেলে নেশাদ্রব্য খাইয়ে চাঞ্চল্যকর কিশোরী ধর্ষণকারী মামলার মূল আসামীকে সোমবার রাতে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক সাহাদাত হোসেনকে (৩৮) নারানগজ্ঞের রূপগজ্ঞ থানার মধুখালি গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে। র‍্যাব-১ এর অধিনায় লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার-বিন- কাশেম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন পেরাব এলাকার হোটেল তাজমহল পিরামিড (রাজমনি পিরামিড) এ ১৬ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাটি দেশের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় এবং সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল সোমবার রাত দেড়টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ ঘটনার মূল আসামী ধর্ষক সাহাদাতকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে র্যাবের নিকট ধর্ষণের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং গ্রেফতার এড়ানোর জন্য গাজীপুরে আত্মগোপন করেছিল বলে জানায়।ঘটনার বর্ণনাতে সে জানায়, ২/৩ মাস পূর্বে জনৈকা মহিলা ভিকটিমের পারিবারিক দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে সুমন নামে এক ব্যক্তির সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে ভিকটিমের সাথে উক্ত ব্যক্তির মধ্যে মোবাইল ফোনে কথোপকথন চলতে থাকে। এরই মাঝে সাহাদাত উক্ত ভিকটিমকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করার পরিকল্পনা গ্রহন করে। ঘটনার পূর্বে সুমন নামের ব্যক্তি ভিকটিমকে গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরের পর দেখা করার জন্য বলে। কথানুযায়ী ভিকটিম দেখা করার উদ্দেশ্যে সোনারগাঁও থানাধীন পেরাব এলাকায় গেলে সাহাদাত নিজেকে সুমন পরিচয় দিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমের সাথে দেখা করে। পরবর্তীতে সাহাদাত ভিকটিমের সরলতার সুযোগে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হোটেল তাজমহল পিরামিড (রাজমনি পিরামিড) এ নিয়ে যায়। পরে হোটেলে ভাড়াকৃত একটি কক্ষে ভিকটিমকে নিয়ে সাহাদাত কোমল পানীয় এবং জুসের সাথে উত্তেজক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করায় এবং জোরপূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ ও মারাত্মকভাবে জখম করে। সাহাদাত গোপনে ধর্ষণ ঘটনার একাংশ মোবাইলের ভিডিও ধারণ করে ভিকটিমকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেয় যে, ভিকটিম সম্পূর্ণ ঘটনা গোপন রাখবে। উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
×