ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামের একাংশে ফের গ্যাস সঙ্কট, জ্বলছে না চুলা

প্রকাশিত: ১১:০০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

চট্টগ্রামের একাংশে ফের গ্যাস সঙ্কট, জ্বলছে না চুলা

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ এলএনজিতে (তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাস) সঙ্কট কেটে যাওয়ার সপ্তাহ না যেতেই চট্টগ্রাম মহানগরীর বড় একটি অংশ পড়েছে ফের গ্যাস সঙ্কটে। খাল খননকালে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) পাইপ কাটা পড়ায় এই ভোগান্তি। আবাসিকে জ্বলছে না রান্নার চুলা, সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ। পাইপলাইন মেরামতের কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ হালিশহর আকমল আলী রোড এলাকায় চলছে সিটি কর্পোরেশনের খাল খননের কাজ। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে কাটা পড়ে কর্ণফুলী গ্যাসের ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের উচ্চ চাপবিশিষ্ট প্রধান রিং লাইন। তখন থেকেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ। শনিবার রাত থেকেই মেরামতের কাজ শুরু হয়, যা রবিবার শেষ হওয়ার আশ্বাসবাণী ছিল। কিন্তু রবিবার গিয়ে সোমবার অতিক্রান্ত হলেও সে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এতে করে বন্দরনগরী বিরাট একটি এলাকা এখন গ্যাসহীন। রান্নার চুলা জ্বলছে না, ফলে হোটেলের খাবার ও দোকান থেকে কেনা শুকনো খাবারই ভরসা। কেজিডিসিএলের বিতরণ বিভাগ জানায়, এই খাল খনন কাজ করার বিষয়টি গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবহিত ছিল না। সমন্বিতভাবে কাজটি না হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। যত দ্রুত সম্ভব পাইপলাইন মেরামতের চেষ্টা চলছে। তবে কবে নাগাদ শেষ হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী খায়েজ আহমেদ মজুমদার জনকণ্ঠকে জানান, খাল খননের সময় কেটে যাওয়া পাইপলাইনটি ১৪ থেকে ১৫ ফুট গভীরে ছিল। অসতর্কতায় লাইন কাটা পড়ায় এই সঙ্কট, যা সাময়িক। তিনি জানান, লাইন কেটে যাওয়ার পর দ্রুততার সঙ্গে দুপাশে আটকে দিয়ে নগরীর একটি অংশে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। হালিশহর, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং ও ফৌজদারহাটসহ প্রায় ২০ ভাগ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই এলাকায় অবস্থিত সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন-গুলোতেও গ্যাস দেয়া যাচ্ছে না। এদিকে, সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে পরিবহন সেক্টরেও। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানবাহন এই অংশ দিয়ে নগরীতে প্রবেশ করে। ফলে ভারি ও বড় যানবাহনগুলো ওই স্টেশনগুলো থেকে গ্যাস নিয়ে থাকে। আকস্মিকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরের ভেতরের অন্য স্টেশনগুলোতে চাপ পড়েছে। এতে করে সকাল থেকেই পরিলক্ষিত হচ্ছে দীর্ঘ লাইন। গ্যাস না পাওয়ায় সড়কে কমেছে যানবাহনও। ফলে যাত্রী সাধারণকে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অধিক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কেজিডিসিএল এমডি জানান, কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে কোন সমস্যা নেই। ফলে সার কারখানা ও বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। সোমবার রাতের মধ্যে পাইপলাইন মেরামতের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে কিনা তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি কেজিডিসি-এলের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। তবে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করতে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন বলে তিনি জানান।
×