ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রীকে উৎসাহ দিতে

প্রকাশিত: ১১:১৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ছাত্রীকে উৎসাহ দিতে

স্কুলে আসার প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলছিল ছোট্ট মেয়েটা। বেশ কিছুদিন ধরে এই বিষয়টি লক্ষ্য করেছিলেন তার স্কুলের এক শিক্ষিকা। তারপর তিনি বুঝতে পারেন, লাগাতার ওই বাচ্চা মেয়েটির পিছনে লাগার কারণেই স্কুলের প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলছিল সে। চুল ছোট বলে লাগাতার ওই বাচ্চা মেয়েটিকে ক্ষেপিয়ে চলছিল তার সহপাঠীরা। কিন্তু কাউকে বকাঝকা না করে অভিনব উপায়ে ওই খুদে ছাত্রীর পাশে দাঁড়ালেন শিক্ষিকা। ওই শিশুটির মতোই ছোট করে চুল কেটে ফেললেন তিনি নিজেও। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা শ্যানন গ্রিম জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি লক্ষ্য করছিলেন প্রিসিলা পেরেজ নামের ওই ছাত্রীটি মাঝে মাঝেই স্কুল আসছে না। স্কুলে আসার প্রতি খুব একটা উৎসাহও নেই তার। তখনই তার সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, তার চুল ছোট বলে সহপাঠীরা প্রায়ই তাকে ‘ছেলে’ বলে ক্ষেপায়। এই কারণেই ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায় তার। তাই সে আর আসতে চায় না স্কুলে। এরপরই ওই ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষিকা। ওই খুদে পড়ুয়ার মতো করেই ছোট করে চুল কেটে ফেলেন তিনি। শ্যানন জানিয়েছেন, তার ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি শুধুই পড়ুয়া বলে মনে করেন না। বরং তিনি তাদের দেখেন বন্ধু হিসেবে। সুতরাং তাদের কোন ভুল হলে সঠিক পথ দেখিয়ে দেয়াই তার কাজ। ভালবেসে বুঝিয়ে বললে ছোটরা নিশ্চয়ই বুঝবে, এমনই বিশ্বাস তার। শুধু তাই নয়, পেরেজের পাশে দাঁড়াতে শ্যানন তাকে মাসের সেরা পড়ুয়াও নির্বাচিত করেন। শিক্ষিকার অবদানের জন্য ছোট্ট পেরেজও তার শিক্ষিকার গলায় পরিয়ে দেয় মেডেল। এইভাবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলার জন্য এবং স্কুলে আসার ইচ্ছা গড়ে তোলার জন্য ওই শিক্ষিকাকে বিশেষ সম্মান দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষও। মন জিতে নেয়া ওই শিক্ষিকার ঘটনা এখন ভাইরাল সোস্যাল মিডিয়ায়। -আনন্দবাজার পত্রিকা
×