ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিদ্বন্দ্বীহীন রাজশাহীর তিন প্রার্থী নির্বাচিত ॥ ঘোষণার অপেক্ষা

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

প্রতিদ্বন্দ্বীহীন রাজশাহীর তিন প্রার্থী নির্বাচিত ॥ ঘোষণার অপেক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর ৮টি উপজেলার মধ্যে একটিতে চেয়ারম্যান ও অপর দুটি উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই নির্বাচিত। এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। এরা হলেন, চেয়ারম্যান পদে মোহনপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। আর বাগমারার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা আক্তার ও গোদাগাড়ীর সুফিয়া খাতুন মিলি। এদের মধ্যে মিলির বিপক্ষে কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেনি। তবে আব্দুস সালাম ও নাসিমা আক্তারের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। আপীলেও তারা প্রার্থিতা ফেরত পাননি। এ কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই তারা নির্বাচিত হচ্ছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর ১৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে আপীল করেন ১০ জন। তবে আপীলেও তারা বাদ পড়েছেন। সর্বশেষ রবিবার শুনানি শেষে এই সিদ্ধান্ত দেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পুঠিয়া, বাঘা, তানোর এবং দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জুলকার নাইন জানান, আপীলকারী ১০ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন শুনানিতে অংশ নেন। জেলা প্রশাসক তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। এছাড়া আপীল শুনানিতে অনুপস্থিত থাকার কারণে অন্য চার প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পাননি। রাজশাহীর যে ১০ জন প্রার্থী আপীল করেছিলেন তারা হলেন, মোহনপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী শহিদ ইবনে শাহাদাত হোসেন, কামরুজ্জামান বুলু, বাঘার মেরাজুল ইসলাম মেরাজ ও দুর্গাপুরের আবদুল মজিদ সরদার। গোদাগাড়ীর ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সালমান ফিরোজ ফয়সাল ও বাগমারার এসএম এনামুল হক, মোহনপুরের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী বানেছা বেগম, চারঘাটের শাকিলা খাতুন এবং বাগমারার মমতাজ আক্তার বেবী ও শাহীনুর খাতুন। জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে মোট চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইকালে এদের মধ্যে তিনজনেরই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এর মধ্যে আপীল করেন দুইজন। তারাও বাদ পড়েন শুনানিতে। ফলে এই উপজেলায় এখন একমাত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত আবদুস সালাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তিনি। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বাগমারার প্রার্থী ও বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তারের। বাগমারা থেকে মোট তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এদিকে গোদাগাড়ীর মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সুফিয়া খাতুন মিলিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতির সঙ্গে ভোট করতে কেউ মনোনয়নপত্রই জমা দেননি। প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর সবগুলো উপজেলায় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে জেলার পবা উপজেলার নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। এখন নির্বাচন হচ্ছে বাকি আট উপজেলায়। এই নির্বাচনে অংশ নিতে তিনটি পদের বিপরীতে মোট ৯০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে ১৬ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেন রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তারা। রাজশাহীর বাগমারা, গোদাগাড়ী, মোহনপুর ও চারঘাট উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে বাতিলের পর যেসব প্রার্থীরা আপীলেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি তারা এখন আদালতে যেতে পারেন। আদালত তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। আর যেসব প্রার্থীদের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই তাদের বিষয়ে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে। সেখান থেকে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট হবে। রাজশাহীর ৮ উপজেলায় এখন ভোটের লড়াইয়ে চেয়ারম্যান পদে ১৯, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩২ এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন প্রার্থী থাকলেন। তফসিল অনুয়ায়ী আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। আর বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা। আগামী ১০ মার্চ রাজশাহীর ৮ উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
×